আর্চারিতে ভালো শুরু রোমান-শ্যামলীর

ঢাকায় আইএসএসএফ ইন্টারন্যাশনাল আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম দিনটা দারুণ কেটেছে বাংলাদেশের আর্চারদের। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে রিকার্ভের ‍দুই বিভাগেই সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের দুই খেলোয়াড়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2017, 02:06 PM
Updated : 27 Jan 2017, 02:06 PM

১৪টি দেশের ৬৩ জন তীরন্দাজ নিয়ে শুক্রবার টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে মওলানা ভাসানী জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে।

৭০ মিটার রিকার্ভের পুরুষ এককে বাংলাদেশের রোমান সানা ৬৬১ স্কোর করে সেরা হন। মেয়েদের এককে এই বিভাগের সেরা হয়ে এলিমিনেশন রাউন্ডে ওঠা শ্যামলী রায়ের স্কোর ৬০২।

৭০ মিটার কম্পাউন্ডের পুরুষ এককে ইরাকের আলদাঘমান ৬৮৬ স্কোর করে প্রথম, বাংলাদেশের আবুল কাশেম মামুন ৬৮২ স্কোর করে দ্বিতীয় হয়েছেন। মহিলা এককে ইরাকের ফাতিমাহ ৬৭০ স্কোর করে প্রথম ও বাংলাদেশের সুস্মিতা বনিক ৬৫৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে উঠেছেন।

কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডের ফাঁকে ফাঁকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা। সেখানেই উঠে আসে যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইরাক, সিরিয়ার খেলোয়াড়দের সংগ্রামের কথা।

ইরাক দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ আলি ফাইয়াদ জানালেন, কখনও দেশে, কখনও দেশের বাইরে তাদের অনুশীলন করতে হয়েছে।

“১৩ বছরের যুদ্ধে গোটা দেশ বিধ্বস্ত। সেখানে ক্রীড়া কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাওয়া মোটেও সহজ কাজ নয়। আমরা ইয়েমেন ও মালোয়েশিয়ায় অনুশীলন করতাম। এখন বাগদাদে নিরাপদ একটা জায়গা পেয়েছি। গাড়িতে ২০ মিনিটের দূরত্বে সবাই থাকে। সেখান থেকে এসেই ট্রেনিং করছে আমাদের আর্চাররা।”

সিরিয়ার কোচ সাদান বাখবাখ জানালেন, দেশে যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে অনুশীলনে সমস্যা হয়েছে তাদেরও।

বাংলাদেশ দল অনুশীলন করেছে টঙ্গীর আহসানউল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়ামের নিরিবিলি পরিবেশে। তাছাড়া খেলাটাও হচ্ছে নিজেদের মাঠে। কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডের পারফরম্যান্স ধরে রাখার প্রত্যয় জানালেন রোমানও।

“যে প্রত্যাশা ছিল তা দিতে পেরেছি। এতে আমি খুশি। এটা তো কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড। নকআউট পর্বে হবে আসল লড়াই। এটা ধরে রাখতে পারলে ভাল কিছু হবে বলেই আমি মনে করি। আজকে ভাল করায় তা ফাইনালে আমাকে অনুপ্রানিত করবে।”