মেসি-নেইমারের দারুণ বোঝাপড়ায় আনোয়েতায় ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। ব্রাজিলিয়ান তারকাকে কোনাকুনি বল বাড়িয়ে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে পড়া আর্জেন্টিনা অধিনায়ক ফিরতি পাসও পেয়েছিলেন; কিন্তু ঠিকমতো বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি।
গোল পেতে অবশ্য বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি অতিথিদের। ২১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন নেইমার। তাকে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার আরিৎস এলুসতোন্দো ডি-বক্সে ফাউল করলে স্পটকিকের বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি।
কিছুক্ষণ পর নিজেদের প্রথম ও একমাত্র সুযোগটি পায় সোসিয়েদাদ। কিন্তু বাঁ-দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে স্প্যানিশ ডিফেন্ডার ইউরির কোনাকুনি শট একটুর জন্যে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
পাল্টা আক্রমণে দ্রুত ডি-বক্সে ঢোকা লুইস সুয়ারেস গোলরক্ষকের চ্যালেঞ্জে বল হারালে পেয়ে যান নেইমার। বল বিপদমুক্ত করতে গোলরক্ষক ঝাঁপালে তার হাতে লেগে পড়ে যান নেইমার। পেনাল্টির জোরালো আবেদন ওঠে; কিন্তু ডাইভের অভিযোগে উল্টো তাকেই হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
শেষ দিকে ডি-বক্সের মধ্যে গোল করার মতো পজিশনে থেকে দুবার শট নেন জেরার্দ পিকে। কিন্তু দুবারই বল প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে ফিরলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
শেষ আটের প্রথম লেগের অন্য ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদ ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়েছে এইবারকে।