জুরিখে সোমবারের জমকালো এই অনুষ্ঠানে ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। ব্যালন ডি’অরের মতোই মেসিকে পেছনে ফেলেন পর্তুগিজ এই তারকা।
বিশ্ব ফুটবল নিয়ন্ত্রণ সংস্থার এই আয়োজনে ছিলেন না বার্সেলোনার তারকা স্ট্রাইকার লিওনেল মেসি। ছিলেন না বর্ষসেরা একাদশে জায়গা পাওয়া তার সতীর্থ আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা, জেরার্দ পিকে ও লুইস সুয়ারেসও। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, বুধবার কাম্প নউতে আথলেতিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে কোপা দেল রের ফিরতি লেগের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য তারা জুরিখে যাননি।
অনুষ্ঠানটিতে বার্সেলোনা তারকা মেসি না আসায় সমালোচনা করেন তার স্বদেশি কিংবদন্তি দিয়েগো মারাদোনা। বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জয়ী রোনালদোও জানান, কাতালান ক্লাবটির খেলোয়াড়রা এলে তিনি খুশি হতেন। মেসিদের অনুপস্থিতি নিয়ে সমালোচনা করেন রবের্তো কার্লোস ও দানি আলভেসও।
এনরিকে জানান, ক্লাবের খেলোয়াড়দের ওপরই সুইজারল্যান্ডে যাওয়া, না যাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করছিল। আথলেতিকের বিপক্ষে ম্যাচের গুরুত্ব বুঝে ফিফার অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে কোচের সমর্থনও পাচ্ছেন মেসিরা।
বার্সেলোনা কোচ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “যাওয়া না যাওয়ার বিষয়টি ব্যক্তিগত। তাদের কোচ হিসেবে আমি কেবল তাদের সিদ্ধান্তের প্রতি সমর্থন দিতে পারি। এখানে খেলার ব্যাপারও রয়েছে, যা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।”
“আমি তাদের সিদ্ধান্তে শতভাগ সমর্থন দিচ্ছি।”
বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতার পর করা রোনালদোর মন্তব্য নিয়ে মত জানতে চাইলে এনরিকে বলেন, “আমি খুবই ভাগ্যবান-এক সপ্তাহ ধরে আমি টিভি দেখিনি।”