ঘরের মাঠে চার্লি ড্যানিয়েলস ও ক্যালাম উইলসনের গোলে শুরুতেই আধিপত্য বিস্তার করা বোর্নমাউথ দ্বিতীয়ার্ধে রায়ান ফ্রেজারের নৈপুণ্যে স্কোরলাইন ৩-০ করে ফেলে। তিন গোলে পিছিয়ে পড়লেও পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আলেক্সিস সানচেস ও লুকাজ পেরেসের গোলে ম্যাচে ফেরে আর্সেনাল। আর শেষ দিকে অলিভিয়ে জিরুদের গোলে হার এড়ায় শিরোপাপ্রত্যাশীরা।
এই নিয়ে প্রিমিয়ার লিগে টানা তিনটি অ্যাওয়ে ম্যাচে জয়শূন্য থাকলো আর্সেনাল। এর আগে পরপর দুই রাউন্ডে এভারটন ও ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে হেরেছিল লন্ডনের ক্লাবটি। অবশ্য গত দুই রাউন্ডে ঘরের মাঠে ঠিকই জিতেছিল ভেঙ্গারের দল; যথাক্রমে তারা ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিওন ও ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারিয়েছিল।
বোর্নমাউথের মাঠে মঙ্গলবার রাতে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। ষষ্ঠদশ মিনিটে ডান দিক থেকে আসা লম্বা ক্রস ইংলিশ ডিফেন্ডার ড্যানিয়েলস ডি বক্সের মধ্যে প্রথম ছোঁয়ায় দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে হেক্তর বেল্লেরিনকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন।
৫৮তম মিনিটে প্রথম গোলদাতা ড্যানিয়েলসের পাস পেয়ে কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান স্কটল্যান্ডের মিডফিল্ডার ফ্রেজার। ম্যাচের নাটকীয়তার তখনও ছিল ঢের বাকি।
৭০তম মিনিটে জিরুদের হেডে বল পেয়ে ঝাঁপিয়ে ফিরতি হেডে ব্যবধান কমান সানচেস। এবারের লিগে চিলির এই স্ট্রাইকারের এটি ত্রয়োদশ গোল। দলের দ্বিতীয় গোলটিতেও অবদান রাখেন ফরাসি স্ট্রাইকার জিরুদ; তার ফ্লিক থেকে বল পেয়ে বাঁ পায়ের চমৎকার কোনাকুনি ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি ফরোয়ার্ড পেরেস।
প্রতিপক্ষে এক জন কম থাকার সুবিধা কাজে লাগিয়ে যোগ করা সময়ে হেডে বল জালে পাঠিয়ে মূল্যবান ১ পয়েন্ট নিশ্চিত করেন জিরুদ।
এই ড্রয়ের পর চতুর্থ স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট হলো ৪১।
১ পয়েন্ট বেশি নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। তার চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে দ্বিতীয় লিভারপুল। এক ম্যাচ কম খেলা চেলসি ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে।