আফগানদের ‘চাপটা’ দিতে চান সাবিনা

মাঠের লড়াইয়ে নামার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারা। টিম বাসে দলবল নিয়ে উঠে পড়েছেন কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। কড়া পুলিশ পাহারায় এসএসবি গ্রাউন্ডস ছেড়ে বাস যখন রাস্তায়, তখনই সাবিনা-শামসুন্নাহারদের স্বপ্নের পিছু নিয়ে শিলিগুঁড়ি ছুটে আসা বাংলাদেশি সাংবাদিকদের ইশারায় থামল বাস। কোচ নেমে এলেন কথা বলতে। এরই ফাঁকে বাসে বসে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন জানালেন চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা-আফগানিস্তানকে চাপটা দিতে চাই!

মোহাম্মদ জুবায়েরমোহাম্মদ জুবায়েরশিলিগুঁড়ি থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Dec 2016, 02:19 PM
Updated : 28 Dec 2016, 02:40 PM

আফগানদের প্রথম চাপটা দিয়েছে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। টুর্নামেন্টের আয়োজকরা প্রথম ম্যাচে ৫-১ ব্যবধানের দাপুটে জয়ে সেমি-ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে। এবার কি বাংলাদেশের পালা সেরা চারে পা দেওয়ার? প্রতিপক্ষকে সমীহ করে সাবিনার কণ্ঠও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে।

“প্রতিপক্ষকে অবশ্যই সমীহ করতে হবে। আফগানিস্তান দলটাও শক্তিশালী। ভারতের বিপক্ষে ওরা গোল খেয়েছে ৫টা; কিন্তু ভালো খেলেছে। তবে আমরা যদি চাপটা দিতে পারি, তাহলে হয়ে যাবে।”

গত ২২ জানুয়ারিতে শিলিগুঁড়িতে পা রাখা আফগানিস্তানের শুরুটা হয়েছে বাজে। অন্যদিকে সাবিনা-মারিয়া-মৌসুমীরা নোঙর ফেলেছেন গত সোমবার। অল্প সময়ে শিলিগুঁড়ির ঠাণ্ডা আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারও আছে।

কন্ডিশন নিয়ে কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের সঙ্গে সুর মেলালেন সাবিনা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগামী বৃহস্পতিবার ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগের দিন বললেন, “আশা করি, কন্ডিশন আমাদের কোনো সমস্যা হবে না। আমাদের ওখানকার মতোই এখানকার কন্ডিশন।”

দল নিয়ে সন্তুষ্টির কথা দেশে থাকতে বলেছিলেন সাবিনা। বিদেশ-বিভূঁইয়ে এসে সুর পাল্টায়নি। সাবিনার সঙ্গে ফরোয়ার্ড লাইনে আছেন সানজিদা খাতুন, আনুচিং মোগিনি, মার্জিয়া। মাঝমাঠে নির্ভরযোগ্য কৃষ্ণা রানী দাসের সঙ্গে মিশরাত জাহান মৌসুমী, সিরাত জাহান স্বপ্না, মারিয়া মান্ডা। রক্ষণে শামসুন্নাহার, রওশন আরা, মুনমুন আক্তার।

কিন্তু শারীরিক গড়নে, সামর্থ্যে আফগানরা এগিয়ে। কোচ ছোটনও বলেছেন বাতাসে এগিয়ে থাকবে প্রতিপক্ষ।

আত্মবিশ্বাসী সাবিনা প্রতিপক্ষের শারীরিক সামর্থ্যে এগিয়ে থাকায় তেমন চিন্তিত নন। নিজের দলে নবীন-প্রবীণে দারুণ ভারসাম্যও দেখছেন তিনি।

“আমাদের দলে পাঁচজন নবাগত আছে। ওরা জাতীয় দলে না খেললেও ওদের অনেক বয়সভিত্তিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। আমার বিশ্বাস, সবাই নিজেদের পারফরম্যান্স মাঠে দেখাতে পারলেই ভালো ফল হয়ে যাবে।”