এ জয় পুরো দেশের: জাবির

কিরগিজস্তানকে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু সিনিয়র মেনস সেন্ট্রাল জোন ইন্টারন্যাশনাল ভলিবলের শিরোপা জয়েল উচ্ছ্বাসে ভাসছে বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক সাঈদ আল জাবিরও জানালেন, জয়টা শুধু তাদের নয়, পুরো দেশের।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Dec 2016, 11:53 AM
Updated : 27 Dec 2016, 11:53 AM

মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার উজ্জীবিত বাংলাদেশ ৩-০ সেটে কিরগিজস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতার সঙ্গে আগের হারের প্রতিশোধও নেয়। আগের ম্যাচ জমজমাট লড়াইয়ের পর ৩-২ সেটে হেরেছিল জাবিররা।

প্রথম আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টের শিরোপার জয়ের উচ্ছ্বাস নিয়ে জাবির ম্যাচ শেষে বলেন, “এ জয়টা শুধু আমাদের জয় নয়, পুরো দেশেরই। কেননা ভলিবলে এর আগে কখনও আমাদের কোনো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সাফল্য আসেনি।”

“শুরু থেকে আমরা বলে আসছিলাম-লক্ষ্য ফাইনাল খেলা। গতকালও অনেকে জানতে চেয়েছেন, ফাইনালের কি অবস্থা? কি লক্ষ্য? দেশের মাটিতে খেলা, দর্শকও আমাদের পক্ষে ছিল-আমাদের একটাই লক্ষ্য ছিল শিরোপা জেতা। আমরা অনেক অনেক চেষ্টা করেছি; জিতেছি। এ জয়ের আনন্দ আসলে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।”

টানা চার ম্যাচ জিতে ফাইনালে আসা কিরগিজস্তানকে প্রথম দুই সেটে ২৫-২২, ২৫-২৩ পয়েন্টে হারিয়ে স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। তৃতীয় সেটে বাংলাদেশ এগিয়ে ছিল ৭-৬ ব্যবধানে। এ সময় প্রতিপক্ষ দলের তোতোয়েভ নুরমুখামেদ চোট পাওয়ার পর পর্যাপ্ত খেলোয়াড় না থাকায় হার মেনে নেয় কিরগিজস্তান!

প্রতিশোধের কথা মুখে না আনলেও জাবির জানালেন, কিরগিজস্তানকে হারানোর প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন তারা।

“ওরা রাশিয়ান বেল্টের দেশ, ওদের ভলিবল সম্পর্কে আমরা বেশি কিছু জানি না। আমরা সবসময় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে থাকি। এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আমরা অন্য দেশগুলোর সঙ্গে খেলছি, চিনছি। গত ম্যাচে ওদের কাছে আমরা হেরেছিলাম। হারের পর ম্যাচটি আমরা পর্যালোচনা করেছি, দেশের মাটিতে জিতব, এ আশা নিয়ে আজ  কোর্টে নেমেছিলাম।”

“বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ওদের মাঠে আমরা খেলতে গিয়েছিলাম। হেরেছিলাম। ওই সময় মনে হয়েছিল, ওরা পারলে আমরা কেন পারব না।”

ভলিবলের জন্য বর্ষপঞ্জির দাবিও তুলছেন অধিনায়ক, “টুর্নামেন্টে দীর্ঘ বিরতি থাকলে আসলে টিম থাকে না। ক্রিকেট-ফুটবল এগিয়ে গেছে; কেননা, তাদের পরিকল্পনা আছে। ওদের বর্ষপঞ্জি আছে এবং এক বছর আগে সেটা দিয়ে দেয়। আশা করি, এবার আমাদেরও একটা পরিকল্পনা এবং বর্ষপঞ্জি থাকবে।”