রেকর্ড ছাড়াই শেষ জাতীয় অ্যাথলেটিকস

কোনো রেকর্ড ছাড়াই শেষ হলো জাতীয় অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯টি সোনা, ১৯টি রুপা ও ১৩টি ব্রোঞ্জ নিয়ে ঘরোয়া অ্যাথলেটিকসের সর্বোচ্চ এই আসরে সেরা হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Dec 2016, 04:18 PM
Updated : 24 Dec 2016, 04:18 PM

১১টি সোনা, ১১টি রুপা ও চারটি ব্রোঞ্জ নিয়ে রানার্সআপ বাংলাদেশ নৌবাহিনী। দুটি করে সোনা-রুপা ও ব্রোঞ্জ নিয়ে তৃতীয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।

এবারও দ্রুততম মানব-মানবী হয়েছেন মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ ও শিরিন আক্তার। দুজনের কেউই নিজেদের সেরা টাইমিং ছাপিয়ে যেতে পারেননি। দুজনের মধ্যে শিরিন গতবারের চেয়ে ভালো টাইমিং করেছেন।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে গত শুক্রবার ১২ দশমিক ০১ সেকেন্ড সময় নিয়ে তৃতীয়বারের মতো দ্রুততম মানবী হন শিরিন। গত আসরে তার টাইমিং ছিল ১২ দশমিক ২০ সেকেন্ড। তার আগের দিন ১০ দশমিক ৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হন মেজবাহ; গতবার ১০ দশমিক ৬০ সেকেন্ড টাইমিং ছিল তার। দুজনে ১০ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি পেয়েছেন।

ছেলেদের ২০০ মিটার স্প্রিন্টে ২১ দশমিক ৫১ সেকেন্ড সময় নিয়ে সেরা হয়েছেন শরিফুল ইসলাম। গতবারের চেয়ে (২১ দশমিক ৭৮ সেকেন্ড) এবার তার টাইমিংয়ে উন্নতি হয়েছে। মেয়েদের ২০০ মিটার স্প্রিনে সেরা হয়েছেন সোহাগী। ২৪ দশমিক ৪৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে দৌড় শেষ করেছেন নৌবাহিনীর এই অ্যাথলেট। কিন্তু মেজবাহ-শিরিন-সোহাগী-শরিফুলদের কেউই রেকর্ড গড়তে পারেননি।

শনিবার প্রতিযোগিতার শেষ দিনে মেয়েদের ৪০০ মিটার স্প্রিন্টে নৌবাহিনীর সোহাগী ৫৬ দশমিক ৬৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম হন।

লং জাম্পে এম ইসমাইল (৭ দশমিক ৫৫ মিটার), মেয়েদের শটপুটে শ্রাবণী মল্লিক (১০ দশমিক ৮৮ মিটার) সেরা হয়েছেন।

৪*৪০০ মিটার রিলের পুরুষ ও মহিলা বিভাগের সোনা জিতেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

রেকর্ড না হওয়া ও পর্যাপ্ত অ্যাথলেট উঠে না আসা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোচ আব্দুল্লাহ হেল কাফি নিয়মিত প্রতিযোগিতা না হওয়াটাকে মূল সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেন।

“নিয়মিত প্রতিযোগিতা না হলে রেকর্ডও হবে না। জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতা বেশি থাকলে অ্যাথলেটরা অনুশীলনের মধ্যে থাকে। তাদের মধ্যে উৎসাহ কাজ করে, প্রতিদ্বন্দ্বিতার মানসিকতা থাকে। বছরে একটা মিট হলে, তা-ও অসময়ে হলে অ্যাথলেটরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অ্যাথলেটিকসকে বাঁচাতে হলে কম্পিটিশন বাড়াতে হবে।”

একটু একটু করে অ্যাথলেটিকসের পিছিয়ে পড়ার কারণটা আর্থিক বলে দাবি করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম চেঙ্গিস।

“টাকার অভাবে প্রতিযোগিতা করতে পারি না। স্পন্সরের দিকে তাকিয়ে থাকি আমরা। সব ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী কম, এটাও স্বীকার করছি। পাইপ লাইনেও অ্যাথলেট কম। সরকার ১২ লাখ টাকা দেয় বছরে, এ দিয়ে কিছু হয় না।”