কঠিন গ্রুপে পড়ার কারণেই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের লক্ষ্যটা আপাতত সেমি-ফাইনালকে ঘিরে সাজাচ্ছে বাংলাদেশ। শনিবার ২০ জনের চূড়ান্ত দল দেওয়ার পর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন, অধিনায়ক সাবিনা খাতুন দুজনেই জানালেন, সেরা চারে ওঠার প্রাথমিক লক্ষ্য।
আগামী সোমবার ভারতের শিলিগুঁড়িতে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ২৯ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে মাঠের লড়াই শুরু করবে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অপর প্রতিপক্ষ প্রতিযোগিতাটির তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত।
মাস চারেকের প্রস্তুতি, অভিজ্ঞ-উঠতিতে গড়া ভারসাম্যপূর্ণ দল নিয়ে সাফে প্রাথমিক লক্ষ্য পূরণের আত্মবিশ্বাসী কোচ ছোটন। গ্রুপের দুই প্রতিপক্ষকে শারীরিক শক্তি ও অভিজ্ঞতার দিক থেকে এগিয়ে রাখলেও নিজের শিষ্যদের নিয়ে আশাবাদী কোচ।
“গত এএফসি টুর্নামেন্টে আপনারা আমাদের মেয়েদের যে ফিজিক্যাল কন্ডিশন দেখেছেন, আমরা দীর্ঘ ট্রেনিং সেশনে সেটা নিয়ে, স্ট্রেন্থ নিয়ে কাজ করেছি। তারা আগের থেকে অনেক উন্নতি করেছে। আমি মনে করি, আমাদের দলটা ভালো এবং আমি মনে করি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করবে।
“এর আগে ভারতের সঙ্গে যখন আমাদের খেলা হতো, তখন তারা আমাদের অর্ধে এসে আধিপত্য করত। ওদের দলে অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে এবং খেলাটাও ওদের মাটিতে। তবে অন্যবারের তুলনায় এবার আমাদের মেয়েরা ভারতের বিপক্ষে ভালো করবে বলে বিশ্বাস আছে আমার।”
“নেপালের বিপক্ষে এসএ গেমসে আমরা শুরুর ১৫ মিনিটে কিছু হাস্যকর ভুলের কারণে গোল খেলেছি। এরপরের খেলা যদি আপনারা দেখেন, তাহলে আমরা কিন্তু সমান তালে খেলেছি। আমরা যদি সেমি-ফাইনালে যাই, তাহলে এবার ভালো কিছু হবে।”
“সাবিনা অনেক আগে থেকেই খেলে। রওশন আরা আছে। এছাড়াও যোগ হয়েছে মাহমুদা আক্তার। এএফসি টুর্নামেন্টে আমাদের গোল কিপিংয়ে যে সমস্যা ছিল, তা থেকে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। আমার মনে হয় এখন তেমন কোনো সমস্যা নাই।”
অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও জানালেন সেমি-ফাইনালের ওঠার লক্ষ্য পূরণ নিয়ে আপাতত ভাবছেন তিনি।
“আসলে এই দলে অনেকেই আছে, যারা ২০১৪ থেকে আমাদের সঙ্গে খেলছে। এর বাইরে কয়েকজন আছে একেবারেই নতুন। তবে আমি মনে করি, দুই মাসের ক্যাম্পে আমাদের যে ভুল-ত্রুটি ছিল, বোঝাপড়ার ঘাটতি ছিল আমরা সেটা ঠিক করে ফেলতে পেরেছি। সেমি-ফাইনাল খেলা আমাদের মূল লক্ষ্য।”