দুর্নীতির সব অভিযোগ উড়িয়ে দিলেন সালাউদ্দিন

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনকে ‘মিথ্যা ও ভুয়া’ বলে দাবি করছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Dec 2016, 12:19 PM
Updated : 19 Dec 2016, 12:19 PM

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের প্রাইজমানি পরিশোধ না করার মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট, ইউরোপিয়ান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের টিকেট দুর্নীতি ও আরো অনেক অভিযোগ নিয়ে একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অভিযোগ নিয়ে নিজের অবস্থান জানাতে হঠাৎ করে সোমবার ‘প্রেস বিফ্রিং’ করেন সালাউদ্দিন। সেখানে শুরুতে ছিল না কোনো প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। নিজের কথাগুলো বলে যাওয়ার পর অবশ্য গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে নিজের কক্ষে কথা বলেন তিনি।

প্রেস বিফ্রিংয়ে সালাউদ্দিন বলেন, “আসলে এটা প্রেস কনফারেন্স নয়, এটা শুধু প্রেস ব্রিফিং। আমি কয় দিন ধরে দেখছি, কিছু কিছু পত্রিকা ও টেলিভিশনে অনেক নেতিবাচক নিউজ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে, আমার বিরুদ্ধে হচ্ছে। আপনাদেরকে আমি একটা কথা জানিয়ে দিতে চাই, সব খবর মিথ্যা। এগুলো ভুয়া খবর।”

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জমা পড়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনাও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে গেছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে। এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সালাউদ্দিন বলেন, “আপনি ঠিক যা যা শুনেছেন, বলছেন, আমিও আপনাদের থেকে জেনেছি। অফিসিয়ালি আমি এখনও কিছু জানি না। এটা প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র।”

অভিযোগগুলো বাফুফের গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার প্রতিপক্ষের ‘ষড়যন্ত্র’ দাবি করেন সালাউদ্দিন।

“কিছু কিছু গণমাধ্যম বলছে, সরকার আমাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে। সরকার সেটা করতেই পারে, আমাদের কোনো অসুবিধা নাই। সরকার তদন্ত করলে আমরা উত্তর দিয়ে দেব।”

এএফসি সলিডারিটি কাপে সময় ফুরানোর পর নাম প্রত্যাহারের কারণে এএফসি বাংলাদেশকে ২০ হাজার ডলার জরিমানা করে।

বাফুফের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা ও উত্তোলনে অনিয়ম, সিলেট বিকেএসপি ক্যাম্পাসে ফুটবল একাডেমির নামে দুর্নীতিসহ আর কিছু আর্থিক দুর্নীতির বিষয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।

গত জানুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চ্যাম্পিয়ন নেপালের হাতে ৫০ হাজার ডলার প্রাইজমানির ডামি চেক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সে অর্থ এখনও নেপালকে দেয়নি বাফুফে। নেপাল দলের সে সময়ের কোচ বাল গোপাল মাহার্জনের কথা দিয়ে কদিন আগে এ নিয়ে প্রতিবেদন ছাপানো হয় আরেকটি দৈনিকে। এগুলো নিয়ে কোনো কথা বলেননি সালাউদ্দিন।

ইউরোর টিকিট ইস্যুতে অভিযোগ অস্বীকার করেন সালাউদ্দিন।

“আমি একটা বিষয় বলে আপনাদের ছেড়ে দেব। বলা হচ্ছে,  ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের টিকিট বেঁচে আমি ৪০ হাজার ইউরো লাভ করেছি। এখানে আমাকে একটা ছোট উদাহরণ দিতে দিন-কোনো টিকিটই নেইনি। কোনো টিকিটই আমরা কিনিনি।”

কিছু দিনের মধ্যে অভিযোগকারীদের সম্পর্কে ‘বিস্তারিত’ জানানোর কথা বলেন সালাউদ্দিন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিতও দেন।

“আজ বিকেলে আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে বসব, তার পরামর্শ নেব। এরপর বলতে পারব পরের করণীয় কি হবে।”