এছাড়া বার্সেলোনার সাবেক সভাপতি সান্দ্রো রোসেলের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও কাতালান ক্লাবটিকে ৮৪ লাখ ইউরো জরিমানার শাস্তি চাওয়া হয়েছে।
তবে ক্লাবটির বর্তমান সভাপতি জোজেপ মারিয়া বার্তোমেউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ খারিজের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ব্রাজিলের ডিআইএস নামের একটি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান নেইমারের ক্রীড়া স্বত্বের ৪০ শতাংশের মালিক ছিল। ব্রাজিল অধিনায়কের ২০১৩ সালে বার্সেলোনার যোগ দেওয়ার মূল ট্রান্সফার ফি গোপন করায় তাদেরকে ঠকানো হয়েছে বলে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।
নেইমারের সঙ্গে চুক্তির সময় ক্লাবটির সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন রোসেল। অভিযোগ গুরুতর হওয়ার ২০১৪ সালে পদত্যাগ করেছিলেন তিনি।
নেইমারের ট্রান্সফার ফি নিয়ে শুরুতে বার্সেলোনা জানিয়েছিল, তাকে কিনতে পাঁচ কোটি ৭০ লাখ ইউরো দিয়েছিল তারা। এর মধ্যে চার কোটি ইউরো পেয়েছিল খেলোয়াড়ের বাবা আর সান্তোস পায় এক কোটি ৭০ লাখ ইউরো। কিন্তু তদন্তকারীরা জানায়, বার্সেলোনা চুক্তির কিছু অংশ লুকিয়েছিল; নেইমারের মোট ট্রান্সফার ফি ছিল আট কোটি ৩০ লাখ ইউরোর কাছাকাছি।
বার্সেলোনা অবশ্য গত জুন মাসে নেইমারের কর ফাঁকি সংক্রান্ত ঝামেলা চুকিয়ে ফেলার জন্য ৫৫ লাখ ইউরো জরিমানা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
ওই মাসেই বিচারক হোসে দে লা মাতা মামলাটি বন্ধ করে দিলে এই বিষয়ে সব ঝামেলা চুকে গেছে বলেই ভেবেছিল বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ। তবে সেপ্টেম্বরে মামলাটি আবার পুনরুজ্জীবিত করতে সক্ষম হন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।
সম্প্রতি বার্সেলোনার সঙ্গে ২০২১ সাল পর্যন্ত নতুন চুক্তি করা নেইমার কাম্প নউয়ের ক্লাবটির হয়ে দুটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা, কোপা দেল রে ছাড়াও ইউরোপিয়ান সুপার কাপ, স্প্যানিশ সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ জিতেছেন।
গত জুলাইয়ে স্পেনের একটি আদালত ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪১ লাখ ইউরো কর ফাঁকির জন্য লিওনেল মেসি ও তার বাবা হোর্হে মেসিকেও ২১ মাসের কারাদণ্ড দেয়।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন মেসি। অবশ্য স্পেনের আইন অনুযায়ী, সহিংস অপরাধ না করলে দুই বছরের নিচে সাজার ক্ষেত্রে কারাবাস হয় না।