স্পোর্তিংকে হারিয়ে নকআউট পর্বে রিয়াল

এক পয়েন্ট পেলেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্ব নিশ্চিত হতো রিয়াল মাদ্রিদের। তবে ড্র নয়, পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্তিংয়ের মাঠ থেকে প্রত্যাশিত জয় নিয়েই ফিরেছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Nov 2016, 09:47 PM
Updated : 23 Nov 2016, 02:17 PM

লিসবনে মঙ্গলবার রাতে ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে স্পেনের সফলতম ক্লাব রিয়াল। রাফায়েল ভারানের গোলে জিনেদিন জিদানের দল এগিয়ে যাওয়ার পর আদ্রিয়েন সিলভা সফল স্পটকিকে চমকের সম্ভাবনা জাগান। তবে শেষ দিকে করিম বেনজেমার গোলে জয় নিশ্চিত হয় অতিথিদের।

এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠলো রিয়াল, পাঁচ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১১। প্রথম লেগে ঘরের মাঠেও একই ব্যবধানে স্পোর্তিংকে হারিয়েছিল রোনালদোরা।

গত দুই ম্যাচের মতো শৈশবের ক্লাব স্পোর্তিংয়ের মাঠেও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় গোলের ‘সেঞ্চুরি’ করার হাতছানিতে মাঠে নেমেছিলেন এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৯৮ গোল করা রোনালদো। কিন্তু শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ গোল করা এই পর্তুগিজ তারকাকে।

তিন দিন আগে লিগে শক্তিশালী আতলেতিকো মাদ্রিদকে উড়িয়ে দেওয়ার আত্মবিশ্বাসে মাঠে নামা রিয়াল মঙ্গলবার রাতেও আক্রমণাত্মক শুরু করে।

ঘর সামলে পাল্টা আক্রমণে ফেভারিটদের রক্ষণেও বেশ কবার ভীতি ছড়ায় স্পোর্তিং। প্রথমার্ধে মোট ছয়টি আক্রমণ করে রিয়াল; কিন্তু গোল বরাবর শট ছিল একটিই। তা থেকেই ২৯তম মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন ভারানে।

ডান দিক থেকে লুকা মদ্রিচের ফ্রি-কিক রোনালদোর পায়ে এসে পড়ে। ঠিক মতো শট নিতে পারেননি তিনি; কিন্তু বল ছয় গজ বক্সের মুখে ফাঁকায় পেয়ে যান ভারানে। গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে কোনো ভুল করেননি ফরাসি ডিফেন্ডার।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম পাঁচ মিনিটে বেশ গোছালো দুটি আক্রমণ করে স্বাগতিকরা; কিন্তু প্রতিবারই রিয়ালের ডি বক্সে ঢুকে তালগোল পাকিয়ে ফেলে।

কিছুক্ষণ পর চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন গ্যারেথ বেল। ৬৪তম মিনিটে সবচেয়ে বড় ধাক্কাটি খায় স্পোর্তিং। মাতেও কোভিসিচের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন জোয়াও পেরেইরা, এরই ফাঁকে প্রতিপক্ষের মিডফিল্ডারকে গুঁতো মেরে লাল কার্ড দেখেন স্বাগতিকদের এই পর্তুগিজ ডিফেন্ডার।

তবে এক জন কম নিয়েও শেষ দিকে পাল্টা আক্রমণে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে স্পোর্তিং। ৮১তম মিনিটে কাঙ্ক্ষিত সমতাসূচক গোল পেয়ে যায় তারা। ডি বক্সে ফাবিও কোয়েন্ত্রাওয়ে হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি, তা থেকেই বল জালে পাঠান পর্তুগিজ মিডফিল্ডার সিলভা।

অবশ্য সমতায় ফেরার স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকেনি স্পোর্তিংয়ের। ৮৭তম মিনিটে ডান দিক থেকে সের্হিও রামোসের ক্রসে দারুণ হেডে জয়সূচক গোলটি করেন কদিন আগে চোট কাটিয়ে ফেরা বেনজেমা।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে জার্মান উইঙ্গার মার্কো রয়েসের দারুণ হ্যাটট্রিকে লেগিয়া ওয়ারসকে ৮-৪ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে আগেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। পাঁচ ম্যাচে জার্মান ক্লাবটির পয়েন্ট ১৩।

শেষ রাউন্ডে রিয়াল ও ডর্টমুন্ডের মুখোমুখি লড়াইয়ে নির্ধারণ হবে গ্রুপ সেরা।

আর রিয়ালের কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার আশা শেষ হয়ে যাওয়া স্পোর্তিংয়ের পয়েন্ট ৩। লেগিয়ার পয়েন্ট ১।

টটেনহ্যামকে হারিয়ে নকআউট পর্বে মোনাকো

প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পারকে ২-১ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নকআউট পর্বে উঠে গেছে মোনাকো।

এই জয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়ে যাওয়া ফ্রান্সের ক্লাব মোনাকোর পয়েন্ট ১১।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে সিএসকেএ মস্কোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করা বায়ার লেভারকুজেনের পয়েন্ট ৭।

৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা টটেনহ্যামের পরের রাউন্ডে ওঠার আশা শেষ। মস্কোর পয়েন্ট ৩।