ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভূইয়া স্টেডিয়ামে রোববার প্রথমার্ধে একাধিক আক্রমণে গেলেও বিজেএমসির রক্ষণ ভাঙতে পারেনি আবাহনী। ৪২তম মিনিটে জুয়েল রানার কোনাকুনি শটে লক্ষ্যে থাকেনি। একুট পর প্রতিআক্রমণে যাওয়া জাকির হোসেন জিকুর শট অল্পের জন্য পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি বিজেএমসিরও।
৪৯তম মিনিটে সানডের শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে বিজেএমসির ত্রাতা গোলরক্ষক। তবে ৫৬তম মিনিটে নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডকে আটকানো যায়নি। ডান দিক থেকে আক্রমণে যাওয়া সানডে প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন। এই নিয়ে লিগে সানডের গোল হলো ১৫টি।
দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ৬৪তম মিনিটে আবাহনীর হাসি কেড়ে নেয় বিজেএমসি। জিকুর কাট ব্যাকে স্যামসন ইলিয়াসুর নেওয়া শট গোললাইন থেকে হাত দিয়ে আটকান সামাদ ইউসুফ। পেনাল্টি থেকে বিজেএমসিকে সমতায় ফেরান ইলিয়াসু।
৮৩তম মিনিটে ওয়াহেদের হাত ধরে ফের এগিয়ে যায় প্রতিযোগিতাটির সর্বোচ্চ চারবারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। লি টাকের কর্নারে জুয়েলের শট ফিরে আসার পর বক্সের জটলার মধ্যে পেয়ে যান ওয়াহেদ; তড়িৎ শটে লিগে প্রথম গোল করেন জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড।
লিগে এই নিয়ে নবম জয় পাওয়া আবাহনী ১৪ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। চট্টগ্রাম আবাহনীর পয়েন্ট ২৮।
ষষ্ঠ হারের স্বাদ পাওয়া বিজেএমসি ১৪ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে।