ফিফা র্যাংকিংয়ের ১৫৫তম দল মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে স্পেনের জয়টিও ৪-০ গোলে। ২০১০ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তিন গোলদাতা ভিতোলো, নাচো মনরিল ও আরিৎস আদুরিস। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
র্যাংকিংয়ে ১৮৩তম দল লিখটেনস্টাইনের জালে জোড়া গোল করেন আন্দ্রেয়া বেলোত্তি। অন্য দুই গোলদাতা চিরো ইম্মোবিলে ও আন্দ্রেয়া কান্দ্রেভা।
শনিবার রাতে দুর্বল লিখটেনস্টাইনের বেহাল রক্ষণকে নিয়ে শুরু থেকেই ছেলেখেলায় মেতে ওঠে ইতালি। একের পর এক আক্রমণে প্রতিপক্ষকে নাজেহাল করে তোলা দলটি গোলের লক্ষ্যে প্রথমার্ধেই ১৬টি শট নেয়, ৯টিই ছিল গোল বরাবর।
একাদশ মিনিটে ডিফেন্ডার আলেস্সিও রোমাগনোলির হেডে গোলমুখে বল পেয়ে টোকায় গোল উৎসবের শুরু করে বেলোত্তি। পরের মিনিটেই ফাঁকায় বল পেয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ফরোয়ার্ড ইম্মেবিলে। তার আশে পাশে প্রতিপক্ষের তিন জন থাকলেও কেউই ঠিক সময়ে এগিয়ে আসেনি, কি করা উচিত তা যেন ভেবেই পায়নি তারা।
৩২তম মিনিটে বাই-লাইন থেকে দি সিগলিওর কাটব্যাক পেনাল্টি স্পটের কাছে ফাঁকায় পেয়ে অনায়াসে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিডফিল্ডার কান্দ্রেভা। আর ৪৪তম মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে থেকে বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন তোরিনোর ফরোয়ার্ড বেলোত্তি।
গ্রানাদায় ম্যাচের শুরু থেকেই চিরচেনা স্পেনের দেখা মেলে। অধিকাংশ সময় বল দখলে রেখে রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে তারা। কিন্তু প্রথম তিন ম্যাচে সবকটিতে হারা মেসিডোনিয়া প্রথমার্ধে রক্ষণে বেশ দৃঢ়তার পরিচয় দেয়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষকে আর রুখতে পারেনি তারা।
৩৪তম মিনিটে নিজেদের ভুলে প্রথম গোল খায় অতিথি দলটি। দানিয়েল কারবাহালের ক্রস হেডে বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই ঠেলে দেন মিডফিল্ডার দার্কো ভেলকোস্কি।
৬৩তম মিনিটে ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার দাভিদ সিলভার গোলমুখে বাড়ানো ক্রসে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সেভিয়ার মিডফিল্ডার ভিতোলো।
শেষ দিকে পরপর দুই মিনিটে দুবার বল জালে পাঠায় স্প্যানিশরা। ৮৪তম মিনিটে ডান দিক থেকে রামোসের ক্রসে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মনরিল। পরের মিনিটে বাঁ-দিক থেকে সিলভার দারুণ রক্ষণচেরা পাসে ডান পায়ের শটে স্কোরশিটে নাম লেখান আদুরিস।
এই জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই থাকল স্পেন। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ইতালি।
‘জি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচে আলবেনিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ইসরায়েল। তিন পয়েন্ট কম নিয়ে চতুর্থ আলবেনিয়া।