মেসি, সুয়ারেসের গোলে বার্সেলোনার জয়

মূল খেলোয়াড়দের কয়েকজন নেই, তবুও সমান ভয়ঙ্কর বার্সেলোনা। বাঁদিকে নেইমারের বিপজ্জনক উপস্থিতি, লিওনেল মেসির জাদুকরী ফুটবল আর লুইস সুয়ারেসের নিখুঁত ফিনিশিংয়ে সেভিয়ার মাঠ থেকে জয় নিয়ে ফিরেছে লা লিগার চ্যাম্পিয়নরা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2016, 09:46 PM
Updated : 7 Nov 2016, 07:20 AM

রোববার রাতের ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনার ২-১ ব্যবধানের জয়ে গোল দুটি করেন মেসি ও সুয়ারেস। গোল না পেলেও ম্যাচ জুড়ে দারুণ খেলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে হারা বার্সেলোনা সেভিয়ার মাঠে দ্বিতীয় মিনিটেই সুযোগ তৈরি করে। মেসি, নেইমার হয়ে বল পান সুয়ারেস। উরুগুয়ে স্ট্রাইকারের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক সের্হিও রিকো।

আরেকটি পরিষ্কার সুযোগের জন্য এরপর লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয় লুইস এনরিকের শিষ্যদের।

শুরুর আক্রমণের ধাক্কা সামলে বার্সেলোনার রক্ষণে প্রচণ্ড চাপ তৈরি করে সেভিয়া। ফল পেতে দেরি হয়নি। লিগে সর্বশেষ ১৮ ম্যাচে বার্সেলোনাকে মাত্র একবার হারাতে পারা দলটি এগিয়ে যায় প্রতি-আক্রমণ থেকে দারুণ এক গোলে।

সের্হি রবের্তোর ভুলে মাঝমাঠে বল পায় স্বাগতিকরা। মিডফিল্ডার পাবলো সারাবিয়ার পাস যখন ভিতোলোকে খুঁজে পায় সামনে তখন কেবল বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান।

পিছন থেকে ছুটে এসে চেষ্টা করেন রবের্তো, তবে ভিতোলোকে বাধা দেওয়ার সত্যিকারের কোনো সুযোগ তার ছিল না। বিপদ দেখে এগিয়ে আসছিলেন গোলরক্ষক। তাকে ফাঁকি দিয়ে পঞ্চদশ মিনিটে বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।   

পিছিয়ে পড়া বার্সেলোনা তখনও নিজেদের গুছিয়ে নিতে পারেনি। আক্রমণাত্মক ফুটবল উপহার দেওয়া সেভিয়া গোলের আরও কয়েকটি সুযোগ তৈরি করে।

৩০তম মিনিটে অফ সাইড ফাঁদ ভেঙে বিপজ্জনক জায়গায় বল পান সেভিয়ার লুসিয়ানো ভিয়েত্তো। আতলেতিকো মাদ্রিদ থেকে ধারে আসা এই ফরোয়ার্ড টের স্টেগানকে একা পেয়েও জালে শট নেননি, ফ্লিক করে বল পাঠান এক সতীর্থের কাছে। নষ্ট হয় দারুণ এক সুযোগ।  

দুই মিনিট পর আবার সুযোগ আসে ভিয়েত্তোর সামনে। হাভিয়ের মাসচেরানোকে পরাস্ত করে দুরূহ কোণ থেকে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।

৩৭তম মিনিটে মেসির শট পরীক্ষা নিতে পারেনি সেভিয়ার গোলরক্ষকের। তবে ৬ মিনিট পর আর আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে ফেরাতে পারেননি তিনি। নেইমারের দারুণ পাস ছুটে এসে নিখুঁত লক্ষ্যভেদে জালে পাঠান মেসি। সেভিয়ার বিপক্ষে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় এটি তার ২৭তম গোল।

এই গোল মেসির জন্য একটি মাইলফলকও। আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক মিলিয়ে বার্সেলোনার হয়ে এটি তার পাঁচশতম গোল।

প্রথমার্ধের অনুজ্জ্বল বার্সেলোনা স্বরূপে ফিরে দ্বিতীয়ার্ধে। একের পর এক সুযোগ তৈরি করা অতিথিরা এগিয়ে যায় ৬১তম মিনিটে। বল পেয়ে দ্রুত গতিতে খানিকটা এগিয়ে যান মেসি। সেভিয়ার খেলোয়াড়রা তাকে ঘিরে ধরলে বল বাড়ান অরিক্ষত সুয়ারেসকে। ঠাণ্ডা মাথায় গোলরক্ষকের দুই পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে পাঠান উরুগুয়ের স্ট্রাইকার। 

ব্যবধান বাড়ানোর অনেক সুযোগ নষ্ট করা বার্সেলোনাকে শেষের দিকে চেপে ধরে সেভিয়া। কিন্তু সমতা ফেরাতে পারেনি তারা। 

এই জয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমিয়েছে বার্সেলোনা। লেগানেসকে হারিয়ে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই রিয়াল। পাঁচ নম্বরে থাকা সেভিয়াকে (২১) হারিয়ে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পেছনেই আছে বার্সেলোনা।