ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় মেসি, রোনালদো, নেইমার

২০১৬ সালের বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কার ব্যালন ডি’অরের সংক্ষিপ্ত তালিকায় প্রত্যাশিতভাবেই আছেন ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো, লিওনেল মেসি ও নেইমার।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2016, 08:54 PM
Updated : 24 Oct 2016, 09:00 PM

সোমবার ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন পাঁচ জন করে মোট ছয় ধাপে ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ করে।

মৌসুম জুড়ে অসাধারণ সাফল্যের কারণে এবারের পুরস্কারটি জেতার লড়াইয়ে বেশ এগিয়ে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের রোনালদো। ক্লাবের হয়ে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর গত জুলাইয়ে দেশকে প্রথমবারের মতো ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাতে নেতৃত্ব দেন তিন বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলার।

পাঁচবারের বর্ষসেরা মেসিরও সম্ভাবনা আছে যথেষ্ট। বার্সেলোনার কোপা দেল রে ও লা লিগা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা এই তারকার নৈপুণ্যে গত জুনে কোপা আমেরিকার ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা।

গত বছরের বর্ষসেরার লড়াইয়ে তৃতীয় হওয়া ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার খেলেননি কোপা আমেরিকায়। তবে দেশকে প্রথমবারের মতো অলিম্পিক ফুটবলে সোনা জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন তিনি। আর ক্লাব ফুটবলে ছিলেন বরাবরের মতোই ছন্দে; বার্সেলোনার দুই শিরোপা জয়ে তার ভূমিকাও কম নয়।

বার্সেলোনার আক্রমণত্রয়ী ‘এমএসএন’ এর আরেক সদস্য লুইস সুয়ারেসও আছেন তালিকায়। ২০১৫-১৬ মৌসুমে ক্লাবটির জোড়া শিরোপা জয়ে অসামান্য অবদান তার; ক্লাবের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত তালিকায় আরও আছেন গ্যারেথ বেল, অঁতোয়ান গ্রিজমান, পল পগবা, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, সের্হিও আগুয়েরো।

রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা বেল জাতীয় দলের হয়েও ছিলেন বেশ সফল। তার দারুণ নৈপুণ্যে ভর করেই প্রথমবারের মতো ইউরো খেলতে এসেই সেমি-ফাইনালে ওঠে ওয়েলস।

ফরাসি দুই তারকা গ্রিজমান ও পগবাও বছরজুড়ে ছিলেন ধারাবাহিক। ঘরের মাটিতে হওয়া এবারের ইউরোয় ফ্রান্সের ফাইনালে ওঠায় দারুণ অবদান ছিল তাদের। ক্লাব ফুটবলে পগবা ইউভেন্তুসের হয়ে জেতেন সেরি আ শিরোপা। গ্রিজমান কোনো শিরোপা জিততে পারেননি; কিন্তু আতলেতিকো মাদ্রিদের হয়ে তিনি ছিলেন দুর্দান্ত।

১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কারটি দেওয়া চালু হয়। ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত শুধু ইউরোপের খেলোয়াড়দেরই দেওয়া হতো। এর পর থেকে ইউরোপে খেলা বিশ্বের যে কোনো খেলোয়াড়ের জন্য পুরস্কারটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আর ২০০৭ সাল থেকে ইউরোপের সেরা নয়, পুরস্কারটি দেয়া হতে থাকে বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।

২০১০ সালে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কার আর ফ্রান্স ফুটবলের ব্যালন ডি’অর একীভূত হয়েছিল। তবে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে মিলে পুরস্কারটি দেওয়ার চুক্তি শেষ হয়ে যাওয়ায় এ বছর থেকে আবার একাই ব্যালন ডি'অর দেবে ফ্রান্স ফুটবল।

২০১৬ ব্যালন ডি’অরের ৩০ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা:

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো (রিয়াল মাদ্রিদ), লিওনেল মেসি (বার্সেলোনা), নেইমার (বার্সেলোনা), লুইস সুয়ারেস (বার্সেলোনা), গ্যারেথ বেল (রিয়াল মাদ্রিদ), অঁতোয়ান গ্রিজমান (আতলেতিকো মাদ্রিদ), পল পগবা (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), সের্হিও আগুয়েরো (ম্যানচেস্টার সিটি), পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াং (বরুসিয়া ডর্টমুন্ড), জানলুইজি বুফ্ফন (ইউভেন্তুস), কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যানচেস্টার সিটি), পাওলো দিবালা (ইউভেন্তুস), দিয়েগো গদিন (আতলেতিকো মাদ্রিদ), গনসালো হিগুয়াইন (ইউভেন্তুস), জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (বার্সেলোনা), কোকে (আতলেতিকো মাদ্রিদ), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদC), রবের্ত লেভানদোভস্কি (বায়ার্ন মিউনিখ), হুগো লরিস (টটেনহ্যাম হটস্পার), রিয়াদ মাহরেজ (লেস্টার সিটি), লুকা মাদ্রিচ (রিয়াল মাদ্রিদ), টমাস মুলার (বায়ার্ন মিউনিখ), মানুয়েল নয়ার (বায়ানর্ মিউনিখ), দিমিত্রি পায়েত (ওয়েস্ট হ্যাম), পেপে (রিয়াল মাদ্রিদ), রুই পাত্রিসিও (স্পোর্তিং লিসবন), সের্হিও রামোস (রিয়াল মাদ্রিদ), জেমি ভার্ডি (লেস্টার সিটি), আর্তুরো ভিদাল (বায়ার্ন মিউনিখ)।

আগের ১০ বারের বিজয়ীরা:

সাল

ফিফা বর্ষসেরা

ব্যালন ডি'অর

২০০৬

ফাবিও কান্নাভারো

ফাবিও কান্নাভারো

২০০৭

কাকা

কাকা

২০০৮

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

২০০৯

লিওনেল মেসি

লিওনেল মেসি

 

একীভূত ফিফা ব্যালন ডি’অর

 

২০১০

লিওনেল মেসি

 

২০১১

লিওনেল মেসি

 

২০১২

লিওনেল মেসি

 

২০১৩

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

 

২০১৪

ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো

 

২০১৫

লিওনেল মেসি