সাউথ্যাম্পটনের সঙ্গে ড্রয়ে শীর্ষে সিটি

চেনা মাঠ, চেনা দর্শকের সামনে খেলা। শুরুর একাদশে ফিরলেন দলের সেরা গোলদাতা সের্হিও আগুয়েরো। কিন্তু জয়ের দেখা আর পায়নি ম্যানচেস্টার সিটি। প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে সাউথ্যাম্পটনের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছে তারা। পয়েন্ট হারালেও অবশ্য শীর্ষে উঠেছে পেপ গুয়ার্দিওলার দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2016, 02:52 PM
Updated : 23 Oct 2016, 02:56 PM

গোল পার্থক্যে সিটি শীর্ষে, আর্সেনাল দ্বিতীয় এবং লিভারপুল রয়েছে তৃতীয় স্থানে। নয় ম্যাচে তিন দলের পয়েন্ট ২০ করে।

দায়িত্ব নিয়ে দলকে সব মিলিয়ে টানা ১০ ম্যাচ জেতানোর পর টানা পাঁচ ম্যাচ জয়শূন্য থাকতে হলো গুয়ার্দিওলাকে।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সেল্টিকের সঙ্গে ড্র দিয়ে হতাশার পথে যাত্রা শুরু সিটির। এরপর লিগে টটেনহ্যামের কাছে ২-০ গোলের হার ও এভারটনের সঙ্গে ১-১ ড্র। সব শেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বার্সেলোনার কাছে ৪-০ ব্যবধানে উড়ে যায় তারা। এবার নিজেদের মাঠে সাউথ্যাম্পটনের সঙ্গে পিছিয়ে পরার পর ড্র।

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষের গোলমুখে তেমন একটা আগ্রাসী ছিল না সিটি। পঞ্চদশ মিনিটে প্রথম বলার মতো আক্রমণে যায় দলটি। কিন্তু ডান দিক থেকে ফের্নান্দিনিয়োর দেওয়া ক্রস রাহিম স্টার্লিং পা ছোঁয়ানোর আগে দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়।

২৫তম মিনিটে সিটির কেভিন ডি ব্রুইনের ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন। ডি-বক্সের একটু ওপর থেকে সামনে থাকা এক ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে আগুয়েরোকে বল বাড়ানোর কাজটুকু করতে পারেননি বেলজিয়ামের এই ফরোয়ার্ড।

লিগের গত মৌসুমে সিটিকে হারানো সাউথ্যাম্পটন ২৭তম মিনিটে জন স্টোন্সের হাস্যকর ভুলে এগিয়ে যায়। ইংল্যান্ডের এই ডিফেন্ডার ভিনসেন্ট কম্পানিকে ব্যাকপাস দিতে গিয়ে দিলেন যেন ক্রস। তড়িৎ ছুটে গিয়ে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন ন্যাথান রেডমন্ড। ব্রাভোকে কাটিয়ে বল ঠিকানায় পৌঁছে দিতে কোনো ভুল করেননি ইংল্যান্ডের এই মিডফিল্ডার।

পাঁচ মিনিট পর নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেই ফেলেছিলেন স্টোন্স। কিন্তু ডি ব্রুইনের ফ্রি-কিকে প্লেসিং শটে বলে জালে জড়িয়ে দেওয়ার সময় অফাসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল হয়।

সমতায় ফিরতে মরিয়া সিটি দ্বিতীয়ার্ধে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়াতে থাকে। ৫৩তম মিনিটে ডান দিক থেকে স্টার্লিংয়ের ক্রসে কেউ পা ছোঁয়াতে পারেনি। দুই মিনিট পর আর হতাশ হতে হয়নি লিগের ২০১৩-১৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নদের।

ডি ব্রুইনের বদলি নামা কেলেচি ইহেনাচোর গোলে সমতায় ফেরে তারা। মাঝমাঠ থেকে ফের্নান্দিনিয়োর লম্বা করে বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কাট ব্যাকে ইহেনাচোকে দেন লেরয় সানে। ঠাণ্ডা মাথায় স্কোরলাইন ১-১ করেন নাইজেরিয়ার এই উঠতি ফরোয়ার্ড।

এ নিয়ে সাত ম্যাচে চতুর্থ গোল পেলেন ইহেনাচো।

একটু পর ছয় গজ বক্সের ভেতর থেকে দাভিদ সিলভার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি সিটির। স্পেনের এই মিডফিল্ডারের আরেকটি শট ফিস্ট করে ফেরান গোলরক্ষক।

৭৫তম মিনিটে চার্লি অস্টিনের জোরালো শট পাঞ্চ করে ফিরিয়ে সিটির ত্রাতা ব্রাভো।

বার্সেলোনার কাছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ৪-০ ব্যবধানে উড়ে যাওয়া ম্যাচে বেঞ্চে বসে থাকা আগুয়েরো সাউথ্যাম্পটনের বিপক্ষে ফেরেন শুরুর একাদশে। কিন্তু ছিলেন নিষ্প্রভ। শেষ দিকে ডান দিক থেকে আক্রমণে ওঠা আর্জেন্টিনার এই ফরোয়ার্ডও বল লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে পড়ে ড্রয়ের স্বস্তিটুকুই প্রাপ্তি সিটির।