বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার শুরু থেকে আক্রমণ, প্রতিআক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। চতুর্দশ মিনিটে জাত্তা মুস্তাফার জোরালো ফ্রি-কিক ফিস্ট করে ফিরিয়ে আবাহনীর ত্রাতা গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেল।
পাঁচ মিনিট পর প্রতিআক্রমণ থেকে গোলের সুযোগ নষ্ট করে আবাহনী। লি টাকের ক্রসের নাগাল সানডে চিজোবা পাওয়ার আগেই বিপদমুক্ত করেন মুস্তাফা। একটু পর লি টাকের তৈরি করে দেওয়া আরেকটি সুযোগও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন সানডে।
গোছানো ফুটবল খেলে রহমতগঞ্জের রক্ষণে চাপ ধরে রাখা আবাহনীকে ৩২তম মিনিটে রুখে দেন সামিউল ইসলাম মাসুম। ফয়সাল মাহমুদের ক্রসে সানডের হেড ফিস্ট করে ফেরান এই গোলরক্ষক। ছয় মিনিট পর লি টাকের ফ্রি-কিকে হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাসের বুদ্ধিদ্বীপ্ত ফ্লিকও শেষ মুহূর্তে ফিস্ট করে ফেরান মাসুম।
৪০তম মিনিটে সিও জুনাপিও রহমতগঞ্জকে এগিয়ে দেওয়ার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন গোলরক্ষক বরাবর বল মেরে। পাঁচ মিনিট পর ইমন বাবুর বাড়ানো বল সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও উড়িয়ে মারেন আবাহনীর মিডফিল্ডার হেমন্ত। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়েও বাঁ দিক থেকে আক্রমণে যাওয়া সানডেকে রুখে দেন মাসুম।
৬২তম মিনিটে মাসুমের দৃঢ়তায় ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি আবাহনী। সানডের বাড়ানো বলে জুয়েলের নেওয়া শট পা দিয়ে ফেরান রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক; ফিরতি বলে হেমন্তের নেওয়া শটও ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
আবাহনীর আক্রমণে ভাটা পড়লে শেষ দিকে সমতায় ফিরতে মরিয়া চেষ্টা করতে থাকে রহমতগঞ্জ। ৮৬তম মিনিটে দিদারুল আলমের হেড পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে হতাশ হতে হয় দলটিকে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে সানডের দুর্দান্ত গোলে রহমতগঞ্জের প্রথম হার নিশ্চিত হয়ে যায়। পোস্ট থেকে গোলরক্ষক মাসুমের বেরিয়ে আসার সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগান নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড। মাঝমাঠের একটু ওপর থেকে সানডের উড়িয়ে মারা শট মাসুমের মাথার ওপর দিয়ে এক ড্রপ খেয়ে ক্রসবারের ভেতরের দিকে লেগে জালে জড়ায়। লিগের সর্বোচ্চ গোল (১০টি) এখন নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের।
শেষের বাঁশি বাজার আগে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে মাঠে উত্তেজনা তৈরি হয়। রেফারির সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে রহমতগঞ্জের শওকত রাসেল সরাসরি লাল কার্ড ও আবাহনীর গোলরক্ষক সোহেল দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন।
এই হারে শীর্ষস্থান হারাল রহমতগঞ্জ। ১১ ম্যাচে ছয় জয় আর চার ড্রয়ে ড্র দলটির পয়েন্ট ২২। ছয় জয় আর পাঁচ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট আবাহনীর।