২০০৮-২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনায় থাকার সময় কোচিং ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল সময় কাটান গুয়ার্দিওলা। তিনটি লা লিগা ও দুটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ কাতালান ক্লাবটিকে মোট ১৪টি শিরোপা জেতান তিনি।
বার্সেলোনা ছাড়ার পর প্রতিপক্ষ দলের কোচ হয়ে এবার দ্বিতীয়বারের মতো কাম্প নউয়ে যাচ্ছেন গুয়ার্দিওলা। মাঝে তিন বছর মেয়াদে বায়ার্ন মিউনিখে থাকার সময় প্রথম কাম্প নউয়ে গিয়েছিলেন। ২০১৪-১৫ মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগের সেই ম্যাচে ৩-০ গোলে হেরেছিল গুয়ার্দিওলার বায়ার্ন।
বায়ার্ন অধ্যায় শেষে চলতি মৌসুমের শুরুতে সিটিতে যোগ দেন গুয়ার্দিওলা। আর দায়িত্বের শুরুতেই দলটিতে তিনি বড় ভূমিকা রেখেছেন বলে মনে করছেন পিকে।
ম্যাচের আগের দিন মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পিকে বলেন, “ম্যাচগুলো খুব বড়, এই ম্যাচগুলোয় আমাদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে। আগের মৌসুমের চেয়ে ভিন্ন এক সিটির বিপক্ষে খেলব আমরা।”
গুয়ার্দিওলার অধীনে পাল্টে যাওয়া সিটির শক্তির বিষয়ে সতর্ক পিকে। তবে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
“এটা খুব চ্যালেঞ্জিং একটা ম্যাচ হবে এবং আশা করি, আমরা জিততে পারব।”
“সিটি অনেকটাই আমাদের মতো খেলে। তারা (আমাদের উপর) চাপ সৃষ্টি করবে। সামর্থ্যের প্রদর্শনীতে ম্যাচটি ভালো চ্যালেঞ্জিং হবে। জয়ের হিসেবে এখনও আমরা উপরে আছি।”
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে একটায় কাম্প নউয়ে শুরু হবে ‘সি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটি।
গত তিন বছরে মোট চারবার মুখোমুখি দেখা হয়েছে দল দুটির। ইউরোপ সেরার প্রতিযোগিতায় হওয়া ওই সবকটি ম্যাচেই জিতেছে বার্সেলোনা।
এবারের আসরে এখন পর্যন্ত হওয়া গ্রুপ পর্বের দুই রাউন্ডেই জিতেছে স্পেনের ক্লাবটি। প্রথম ম্যাচে সেল্টিককে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার পর বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ২-১ গোলে হারায় তারা।
অন্যদিকে, বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়ে শুরু করা সিটি দ্বিতীয় রাউন্ডে সেল্টিকের সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করে।
দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে আছে বার্সেলোনা। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সিটি।