শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার প্রথমার্ধেই ২৬-৭ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। রুবিনারা দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ৪৮-২৯ ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে তারা।
পাকিস্তানে হওয়া আইএইচএফ ট্রফির গত আসরে স্বাগতিকদের হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। এবারও পাকিস্তানকে ৩৮-১২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে রুবিনা-মাসুদারা।
অনূর্ধ্ব-১৯ বছর বয়সী মেয়েদের এই আসরে শ্রীলঙ্কাকে ৪৭-১৪ গোলে হারিয়ে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানকে ৩৪-৭ ব্যবধানে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠে মেয়েরা।
ছেলে ও মেয়ে উভয় বিভাগের ফাইনালে ভারতের কাছে হারে বাংলাদেশ। দুই দলের প্রধান কোচ কামরুল ইসলাম কিরণ ম্যাচ শেষে প্রতিপক্ষের শক্তির কথা তুলে ধরেন।
“আজকের খেলা দেখে বুঝতে পারছি, ভারত আমাদের চেয়ে অনেক অনেক এগিয়ে আছে। আসলে ওদের অনুশীলনের সুবিধা, যে ধারাবাহিকতা, তা অনেক দিন ধরেই এরকম।”
“এসব বিষয়গুলো আমাদের ক্ষেত্রে একেবারে বিপরীত। ওদের হ্যান্ডবল একাডেমি আছে, অধিকাংশ খেলোয়াড়ও সেখান থেকে আসে, আমাদের এ ধরনের কোনো একাডেমি নেই। নিয়মিত অনুশীলনও করতে পারি না। পার্থক্যটা আমরা মাঠেই প্রমাণ পেলাম।”
পর্যাপ্ত অনুশীলনের অভাবের কারণে খেলোয়াড়দের স্ট্যামিনার ঘাটতি থাকার কথা জানিয়ে কিরণ আরও বলেন, “আমরা যে কৌশলই কাজে লাগাতে গিয়েছি, তারা তা ধরে ফেলেছে। তারপরও দ্বিতীয়ার্ধে আমরা কিছু পরিবর্তনের চেষ্টা করেছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তাদের সঙ্গে পারার মতো সামর্থ্য আমাদের খেলোয়াড়দের নেই।”