১-১ ব্যবধানে ড্র হওয়া ম্যাচে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন ইভান রাকিতিচ। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান আতলেতিকোর ফরোয়ার্ড আনহেল কোরেয়া।
বার্সেলোনার মাঠে ১০ বছরের মধ্যে প্রথম জয়ের লক্ষ্য থাকলেও আতলেতিকো শুরু থেকেই খেলে নিজেদের রক্ষণ নির্ভর কৌশলী ফুটবল। লা লিগার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর আক্রমণভাগের বিপক্ষে সবচেয়ে আঁটসাঁট রক্ষণের লড়াইয়ে শুরু থেকেই প্রত্যাশিত দাপুটে ফুটবল খেলে বার্সেলোনা।
লিগের প্রথম চার রাউন্ডে সর্বোচ্চ ১৩ গোল করা বার্সেলোনাকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত ঠেকিয়ে রাখে আতলেতিকো। পরের মিনিটে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার নিখুঁত ক্রসে রাকিতেচের দারুণ হেড জালে জড়ায়। অতিথি গোলরক্ষকের তাকিয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।
এই ম্যাচের আগে লিগে সর্বনিম্ন এক গোল হজম করা দিয়েগো সিমেওনের শিষ্যরা শুধু রক্ষণই করে যায়নি, প্রতিআক্রমণ থেকে গোলের সন্ধানও করে। সব ধরনের ফুটবলে শেষ তিন ম্যাচে ১০ গোল করা আতলেতিকো অবশ্য প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি।
অতিথিরা নিজেদের সেরা সুযোগ পায় সপ্তদশ মিনিটে। সেবার কারাসকোর শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান।
এর আগে-পরে বার্সেলোনা অনেক সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারছিল না মেসি-নেইমার-সুয়ারেসরা। পঞ্চদশ মিনিটে মেসির শট ফেরান গোলরক্ষক। ৩৭তম মিনিটে নেইমারের শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
অবশেষে ৪১তম মিনিটে ভক্তদের মুখে হাসি ফোটান রাকিতিচ। চার মিনিট পর একজনের গায়ে লেগে গোলরক্ষক বরাবর চলে যায় মেসির শট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ধাক্কা সামলে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ নেয় বার্সেলোনা। তবে এরই মধ্যে বড় একটা ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা। চোট পেয়ে ৫৯তম মিনিটে মাঠ ছাড়েন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক মেসি। তার মাঠ ছাড়ার দুই মিনিটের মধ্যে বার্সেলোনার জালে বল পাঠায় আতলেতিকো।
জেরার্দ পিকের দুই পায়ের ফাঁক গলে আসা বল পান মাত্রই মাঠে আসা আনহেল কোরেয়া। দ্রুত এগিয়ে গড়ানো শটে সমতা ফেরান এই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। বল পোস্টে লেগে জালে জড়ায়, ফেরানোর চেষ্টাও করতে পারেননি টের স্টেগান।
৬৬তম মিনিটে নেইমারের দারুণ শট ঝাঁপিয়ে কোনোমতে ঠেকিয়ে দেন ইয়ান ওবলাক। ৭৯তম মিনিটে আবার ব্রাজিলিয়ান তারকার বুলেট গতির শট ফেরান এই গোলরক্ষক।
৮৩তম মিনিটে নেইমারের দারুণ ফ্রি-কিকে পিকের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৫ মিনিট পর অন্য প্রান্তে ফ্রি-কিক থেকে দিয়েগো গদিনের হেড কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক।
এই ড্রয়ে ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে নেমে গেছে বার্সেলোনা। ৯ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আতলেতিকো।
একই দিন ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে ড্র করা রিয়াল ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই রয়েছে। ১১ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে উঠেছে সেভিয়া।