মঙ্গলবার স্কটল্যান্ডের দলটির বিপক্ষে বার্সেলোনার ৭-০ ব্যবধানের জয়ে অন্য গোলটি আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটাই স্পেনের অন্যতম সফল দলটির সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।
আলাভেসের বিপক্ষে শুরুর একাদশ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এনরিকে এবার পরীক্ষিত দলকেই বেছে নেন। শুরু থেকেই মাঠে থাকা মেসি-নেইমার-সুয়ারেস আবার উপহার দিয়েছেন জাদুকরী ফুটবল। তাদের সামনে কোনো বাধাই হতে পারেনি সেল্টিকের রক্ষণ।
গোলের জন্য কাম্প নউয়ে তিন মিনিটের বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। নেইমারের দারুণ পাসে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন মেসি।
মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগেন মুসা দেমবেলিকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সেল্টিক। ২৪তম মিনিটে দেমবেলির পেনাল্টি ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন বার্সেলোনার গোলরক্ষক।
২৭তম মিনিটে দেওয়া-নেওয়া করে সুযোগ তৈরি করেন নেইমার। যা কাজে লাগাতে মোটেও সমস্যা হয়নি পাঁচ বারের বর্ষসেরা ফুটবলার মেসির।
আট মিনিট পর ইভান রাকিতিচের একটি প্রচেষ্টা গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন সেল্টিকের একজন ডিফেন্ডার।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫০তম মিনিটে অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে ব্যবধান ৩-০ করেন নেইমার। গোলরক্ষক বল স্পর্শ করলেও জালে জড়ানো ঠেকাতে পারেননি।
৭২ সেকেন্ডের মধ্যে আবার উৎসবে মাতে বার্সেলোনা। সুয়ারেসের ক্রস থেকে নিজের তৃতীয় গোলটি করেন মেসি। এই গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে বেশি-৬টি হ্যাটট্রিকের রেকর্ড গড়েন সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
৭৫তম মিনিটে আবার নেইমারের নিখুঁত ক্রস। এবার বুক দিয়ে নামিয়ে চমৎকার এক ভলিতে দলের ষষ্ঠ গোলটি করেন স্ট্রাইকার সুয়ারেস। ৮৮তম মিনিটে মেসির কাছ থেকে বল পেয়ে আবার জালে পাঠান উরুগুয়ের এই তারকা। তার ঠিক আগে নেইমারের একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় বারে লেগে।
টানা বৃষ্টির জন্য নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগে স্থগিত করা হয় ম্যানচেস্টার সিটি ও বরুসিয়া মনশেনগ্লাডবাখের মধ্যকার ‘সি’ গ্রুপের অন্য ম্যাচ।
‘বি’ গ্রুপে দিনামো কিয়েভকে ২-১ গোলে হারিয়েছে নাপোলি। ৬৮তম মিনিটে কিয়েভের সিদরচুক দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন। গ্রুপের অন্য ম্যাচে বেনফিকার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে বেসিকতাস।
‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে রুস্তভকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। গ্রুপের অন্য ম্যাচে পিএসভি আইন্দহোফেনকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ।