১৯৯২-৯৩ মৌসুমে নতুন ফরম্যাট প্রচলন হওয়ার পর কোনো ক্লাবই ইউরোপ সেরার মুকুট ধরে রাখার কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি। সবশেষ ১৯৯০ সালে এই শিরোপা ধরে রাখার কীর্তি গড়েছিল ইতালির ক্লাব এসি মিলান।
১১টি শিরোপা জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সফলতম ক্লাব রিয়াল। গত তিন মৌসুমে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।
উয়েফার ওয়েবসাইটে রোনালদো বলেন, “এটা একটা চ্যালেঞ্জ, একটা বড় চ্যালেঞ্জ। রিয়াল মাদ্রিদে আমি মনে করি, আমাদের এটা জেতার সুযোগ আছে। আমরা জানি, এটা খুব কঠিন একটি প্রতিযোগিতা, কিন্তু কোনো কিছুই সহজ নয় তাই আমরা চেষ্টা করব।”
পর্তুগালের ক্লাব স্পোর্তিংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আগামী বুধবার এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযান শুরু করবে রিয়াল।
তার দল প্রত্যেকটি ম্যাচকেই সমান গুরুত্ব দেবে বলে জানান রোনালদো।
“আমরা প্রত্যেকটি ম্যাচ ধরে খেলব। আমার কাছে এটা যেহেতু কঠিন গ্রুপ, প্রথম গ্রুপ পর্ব নিয়ে চিন্তা করব আমরা। আমরা দেখব, প্রতিযোগিতা কিভাবে উন্মোচিত হয়। কিন্তু ভাবনাটা ইতিবাচক যে এটা আবার জেতা সম্ভব।”
‘এফ’ গ্রুপে স্পোর্তিং ছাড়া রিয়ালের বাকি দুই প্রতিপক্ষ জার্মানির বরুসিয়া ডর্টমুন্ড আর পোল্যান্ডের ক্লাব লেগিয়া ওয়ারস।
রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পর এ বছরই পর্তুগালের হয়ে ইউরোর শিরোপা জেতেন রোনালদো। অসাধারণ এই সাফল্য নিয়ে দারুণ খুশি তিনি।
“শিরোপাগুলোর দিক থেকে এটা সম্ভবত আমার ক্যারিয়ারের সেরা বছর ছিল।”
“আমার এর চেয়ে ভালো বছর কখনোই ছিল না। দলগত আর ব্যক্তিগতভাবে একই রকম, কারণ আমি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছি এবং ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপটাও দারুণ কেটেছে আর আমরা দুটি বড় শিরোপা জিততে পেরেছি।”