বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ম্যাচের প্রথমার্ধে আধিপত্য বিস্তার করে খেলে স্বাগতিক বাংলাদেশ। তবে দলকে কাঙ্ক্ষিত গোল এনে দিতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ডরা।
১৯তম মিনিটে ভুটান প্রথমার্ধে তাদের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি পায়। তবে বক্সের মধ্যে ফাঁকায় বল পেলেও গোল করতে পারেনি মিডফিল্ডার বিরেন বাসনেত।
তিন মিনিট পর ডানপ্রান্ত থেকে রুবেল মিয়ার ক্রসে সোহেল রানার হেড দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন ভুটানের গোলরক্ষক হরি গুরুং। ৩৭তম মিনিটে বক্সে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারায় শটই নিতে পারেননি রুবেল।
৪১তম মিনিটে আরেকটি সহজ সুযোগ থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন সাখাওয়াত রনি। বাঁ দিক থেকে জাফর ইকবালের ক্রস গুরুংয়ের হাতে লেগে রনির পায়ে এসে পড়ে। কিন্তু বক্সের মধ্যে থেকে এই ফরোয়ার্ড গোলরক্ষকের গায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন।
৮০তম মিনিটে দ্রুত গতিতে বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়েছিলেন ভুটানের এক খেলোয়াড়। তবে তপু বর্মনের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় বাংলাদেশ।
যোগ করা সময়ে তিন তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন করেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা। এর মধ্যে সহজতম সুযোগটি পান নাবীব নেওয়াজ জীবন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি; দুর্বল হেড সরাসরি ভুটানের গোলরক্ষকের হাতে গিয়ে পড়ে।
এই ম্যাচের আগে মালেতে প্রীতি ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় ঘুরে দাঁড়ানো হলো না সেইন্টফিটের দলের।
এর আগে ভুটানের বিপক্ষে খেলা পাঁচ ম্যাচের ৪টিতেই জিতেছিল বাংলাদেশ, অন্যটি হয়েছিল ড্র।
ভুটানের থিম্পুতে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচটি হবে আগামী ১০ অক্টোবর।