বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আগামী সোমবার বাছাইয়ে ‘সি’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে বেলা ১১টায় আমিরাতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। আগের দিন এ ম্যাচের লক্ষ্য জানাতে জয়ের কথাই বলেন অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকার।
“যেহেতু এটাই আমাদের শেষ ম্যাচ, তাই আমরা জিতেই শেষ করতে চাই। কোনো দলকেই আমরা হালকাভাবে নেব না। আগের ম্যাচগুলো যেভাবে খেলেছি, এ ম্যাচেও সেভাবেই খেলব।”
গত বাছাইয়ে তৃতীয় হওয়ার পথে আমিরাতকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। চলতি বাছাইয়ে গত চার ম্যাচে দুটি ম্যাচ হারে আর একটি করে জয় ও ড্র করে আমিরাত। অন্যদিকে চাইনিজ তাইপেকে ৪-২ গোলে হারিয়ে মূল পর্ব নিশ্চিত করা কৃষ্ণারা আছে ফুরফুরে মেজাজে।
কৃষ্ণা-তহুরাদের অনুশীলনেও নির্ভার থাকার আবহ। কিন্তু জয় দিয়ে শেষের প্রশ্নে অধিনায়কের কণ্ঠ আরও প্রত্যয়ী, “আমাদের আরও ভালোভাবে এই ম্যাচ খেলতে হবে। একটা কথা আছে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। আমরা যে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, সেটা ধরে রাখতে হবে।”
“লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কিন্তু এখনও ম্যাচ শেষ হয়ে যায়নি। আগের চারটি ম্যাচ যেভাবে খেলেছি, যে গুরুত্ব দিয়ে খেলেছি, আমিরাতের বিপক্ষেও একইভাবে খেলব।”
“এখানে প্রতিটি দলই সমান। কেউ কারও চেয়ে কম নয়। আমাদের কাছে হারা ইরান কিন্তু পরের তিন ম্যাচেই দারুণভাবে জিতেছিল। তাইপেও আমাদের বিপক্ষে ম্যাচটি বাদ দিলে বাকি ম্যাচগুলো দারুণ খেলেছে।”
টানা চার জয়ে বাংলাদেশের পয়েন্ট ১২। ৯ করে পয়েন্ট পাওয়া ইরান ও তাইপের সুযোগ আছে পয়েন্টে বাংলাদেশকে ধরার; সেক্ষেত্রে অবশ্য কৃষ্ণাদের হারতে হবে। তবে পুরো ১৫ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্ব শেষের লক্ষ্য কোচের।
“এ দুটি দলের সুযোগ আছে আমাদের সমান পয়েন্ট পাওয়ার কিন্তু তাদের সে সুযোগ আমরা দিতে চাই না। শ্রেষ্ঠত্ব বজায় রাখতে পুরো শক্তির দল নিয়ে মাঠে নামব।”
আগামী বছর থাইল্যান্ডে বসবে চ্যাম্পিয়নশিপের মূল পর্ব। ছোটনের ভাবনা আমিরাত ম্যাচ ছাপিয়ে চলে যাচ্ছে মূল পর্বের দিকে।
“উত্তর কোরিয়া এ পর্যায়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। জাপান, অস্ট্রেলিয়াও অনেক শক্তিশালী দল। কেবল ট্রেনিং করলেই হবে না, শক্তিশালী দলগুলোর বিপক্ষে আমাদের নিয়মিত ম্যাচও খেলতে হবে। তাহলে আমরা মূলপর্বে গিয়ে সম্মানজনক কিছু করতে পারবো।”