ইরানকে হারিয়ে শুরুর আশা বাংলাদেশের মেয়েদের

অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে গতবার ইরানের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার শক্তিশালী এই দলের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই ২০১৭ সালের আসরের বাছাই পর্ব শুরু করবে স্বাগতিকরা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের মতো অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী সরকারও প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন, ইরানকে হারিয়ে বাছাই পর্বে যাত্রা শুরু করতে মুখিয়ে থাকার কথা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 August 2016, 12:48 PM
Updated : 26 August 2016, 01:37 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শনিবার সন্ধ্যা ছয়টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। আগের দিন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে (বাফুফে) সংবাদ সম্মেলনে ছোটন ও কৃষ্ণা শোনালেন আশার কথা। তিন মাস ধরে চলা অনুশীলন, তিন প্রস্তুতি ম্যাচে জাতীয় দলকে হারানোর আত্মবিশ্বাস নিয়ে ইরান ম্যাচের ছক কষছেন কোচ।

“কাল শক্তিশালী ইরানের সঙ্গে আমাদের খেলা। আমরা প্রস্তুত। কালকের ম্যাচ শিহরণ জাগানো ম্যাচ হবে। আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নামব এবং আশা করি, জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ব।”

গত বাছাইয়ে শেষ ম্যাচে ইরানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরে তৃতীয় হয়েছিল বাংলাদেশ। গতবারের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ইরানকে তাই বাড়তি সমীহ করছেন ছোটন।

“অবশ্যই এই টুর্নামেন্টে সবাই শক্তিশালী। তার মধ্যে ইরান অন্যতম। যদি আমরা জিততে পারি, তাহলে আমাদের টিম স্পিরিট বেড়ে যাবে।”

বয়সভিত্তিক ফুটবল বাংলাদেশের মেয়েদের সাফল্য চোখে পড়ার মতো। ২০১৪ সালে নেপালে, পরের বছর তাজিকিস্তানে অনূর্ধ্ব-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা হয়েছিল মেয়েরা। অনূর্ধ্ব-১৪ দলের কৃষ্ণা, মার্জিয়া, সানজিদা, তহুরা, আনাই মোগিনীদের অনেকেই আছেন এবারের অনূর্ধ্ব-১৬ দলে।

অধিনায়ক কৃষ্ণা তাই নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলে ইরানকে হারাতে প্রত্যয়ী।

“ইরান যেহেতু শক্তিশালী দল, আমরা মাথা গরম করব না। ইরানের বিপক্ষে স্বাভাবিক খেলা খেলেই আমরা মাঠ থেকে জয় নিয়ে বের হব।”

গতবারের সাফল্যের পুনরাবৃত্তিতে আশাবাদী ইরানের কোচ সাদি মাহিনি।

“আমাদের দলটি অনূর্ধ্ব-১৪ ও ১৬ দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে গড়া। চ্যাম্পিয়ন হতে আমরা বাংলাদেশে এসেছি। গতবার গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম, এবারও একই লক্ষ্য আমাদের।”

‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অন্য প্রতিপক্ষ চাইনিজ তাইপে, কিরগিজস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সিঙ্গাপুর।

মোট ২৪টি দল এবারের বাছাইয়ে চারটি গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতিটি গ্রুপের সেরারা পাবে ২০১৭ সালে থাইল্যান্ডের মূল পর্বে খেলার টিকেট।