বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার রহমতগঞ্জের জয়টি ২-০ গোলে। মেহবুব হাসানের গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর সিও জুনাপিওর হাত ধরে স্বাধীনতা কাপের চ্যাম্পিয়নদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেয় দলটি।
দুটি দলের সামনেই ছিল লিগে অজেয় যাত্রা ধরে রাখার লড়াই। সে লড়াইয়ে ষষ্ঠ মিনিটে সতীর্থের কর্নারে নিখুঁত হেড করে রহমতগঞ্জকে এগিয়ে নেন নয়ন।
সমতায় ফিরতে মরিয়া চট্টগ্রাম আবাহনীর আক্রমণের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম মাসুম। ২৩তম মিনিটে বক্সের বাঁ দিক থেকে মামুনুল ইসলামের ফ্রি কিক ফিস্ট করে ফেরানোর দুই মিনিট পর তারিক আল জানাবির বাঁকানো ফ্রি কিকও রুখে দেন তিনি।
৭৪তম মিনিটে লিওনেল সেইন্ট প্রিয়াক্সের শট পোস্টে লেগে প্রতিহত হলে চট্টগ্রাম আবাহনীর হতাশা বাড়ে।
যোগ করা সময়ে পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করে চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচে ফেরার আশা শেষ করে দেন সিও জুনাপিও। পাঁচ গোল নিয়ে বর্তমানে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা রহমতগঞ্জের এই ফরোয়ার্ড।
শুক্রবার প্রথম ম্যাচে উত্তর বারিধারাকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেয় ফেনী সকার।
ছয় ম্যাচে তিনটি করে জয় ও ড্রয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে রহমতগঞ্জ। শীর্ষে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের পয়েন্টও ১২; তবে গোল পার্থক্যে এগিয়ে তারা। শেখ জামালের পয়েন্টও একই সমান; তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে দলটি।
সমান ম্যাচে ৩ জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে চট্টগ্রামের দলটি।