পাঁচ বছরের চুক্তিতে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ফিরেছেন ২৩ বছর বয়সী পগবা। চুক্তি অনুযায়ী ইউভেন্তুসকে ১০ কোটি ৫০ লাখ ইউরো দেবে ইউনাইটেড। পগবার পারফরম্যান্স আর আরও কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে আরও ৫০ লাখ ইউরো।
গত মৌসুমে ‘রেড ডেভিলস’ নামে পরিচিত দলটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় লুই ফন খালকে বরখাস্ত করে মরিনিয়োকে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নতুন মৌসুম শুরুর আগে স্কোয়াড শক্তিশালী করতে এ পর্যন্ত চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে পগবাকে দলে নিলেন পর্তুগিজ এই কোচ।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড টিভিকে পগবা বলেন, “তার সঙ্গে আমি কয়েকবার কথা বলেছি এবং তিনি আমাকে শক্তি জুগিয়েছেন ও ইতিবাচক দিক দেখিয়েছেন। আমি চিন্তা করছিলাম, ‘কেন নয়’। আমি নিশ্চিত, তিনি আমার উন্নতি করাতে পারবেন, আমাকে আরও ভালো খেলোয়াড় ও ভালো মানুষ বানাতে পারবেন।”
ইউভেন্তুসে ক্লাব সতীর্থ আলভারো মোরাতা ও রিয়ালের ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের সঙ্গেও ইউনাইটেডে ফেরার বিষয় নিয়ে আলাপ করার কথা জানান পগবা। এরা দুজনই সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ের ক্লাবটিতে মরিনিয়োর অধীনে খেলেছেন।
“তিনি (মরিনিয়ো) মাদ্রিদে থাকার সময়কার (ক্লাবটির) অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। আমি মোরাতা ও ভারানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সবাই আমাকে বলেছে, তিনিই আমার জন্য সঠিক কোচ, তিনি আমার (খেলায়) অনেক উন্নতি করাতে পারবেন।”
“অবশ্যই, প্রথমবারের মতো লিগ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা। ব্যক্তিগতভাবে আমার একটা স্বপ্ন ব্যালন ডি’অর জেতা। আশা করি এটা আসবে, তবে সবার আগে আমাকে প্রিমিয়ার লিগ জিততে হবে।”
২০০৯ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে ইউনাইটেডে যোগ দিয়ে তিন বছরের প্রথম মেয়াদে সমর্থকদের মন জয় করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন পগবা। দলটির ওই সময়ের কোচ অ্যালেক্স ফার্গুসনের পরিকল্পনায়ও ছিলেন না এই তরুণ প্রতিভা। অতীত ভুলে চিত্রপটে এবার ভিন্নতা আনতে চান তিনি, সমর্থকদের মন জয় করতে চান।
“আমি ফিরে এসেছি। আমার তর সইছে না তাদের খুশি করতে; তাদের দেখাতে যে আমি এখনও পল পগবা, তবে ভিন্ন আঙ্গিকে। আমি তাদের দেখাতে চাই, এখানে আমি মজা করতে আসিনি। আমি এখানে তাদের খুশি করতে এসেছি।”