হতশ্রী শুরুর পর ব্রাজিলের ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়

নেইমারদের কাঁধে ভর করে ব্রাজিল অলিম্পিক ফুটবলে অপ্রাপ্তি ঘোচানোর স্বপ্ন দেখলেও প্রথম দিনের পারফরম্যান্সে ধাক্কা খেয়েছে স্বাগতিকরা। তবে ১০ জনের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গোল করতে না পারাকে নিজেদের জন্য ‘বাজে দিন’ হিসেবে দেখছে দলের অনেকেই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 August 2016, 01:02 PM
Updated : 16 Oct 2016, 12:21 PM

ব্রাজিলিয়ায় স্তাদিও নাসিওনাল মানে গারিঞ্চাতে বৃহস্পতিবার বল দখল ও আক্রমণের বিচারে ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়ই নিয়ন্ত্রণ ছিল স্বাগতিকদের। কিন্তু প্রতিপক্ষের জালে বল জড়াতে ব্যর্থ তারা।

শুরুতেই এমন হোঁচটের পর ডিফেন্ডার মারকুইনিয়োস বলেন, “গোল করার ক্ষেত্রে আজ আমরা ব্যর্থ হয়েছি, তাই আমাদের ভালো করা প্রয়োজন। আমরা চেষ্টা করেছি, (সাফল্য পেতে) আমরা চেষ্টা করে গেছি, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা গোল করতে পারিনি।”

৫৯তম মিনিটে দক্ষিণ আফ্রিকার ডিফেন্ডার মোথোবি মাভালা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ভালো সুযোগ তৈরি হয় ব্রাজিলের সামনে। কিন্তু আধা ঘণ্টারও বেশি সময় এক জন বেশি নিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোল করতে পারেনি তারা।

বিশ্বকাপ পাঁচবার, ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ তিনবার ও কোপা আমেরিকা আটবার জেতা ব্রাজিল অলিম্পিকে সোনা কখনও পায়নি। শূন্যতা পূরণে এবার তাই সময়ের অন্যতম সেরা তারকা নেইমার, দুই প্রতিশ্রুতিশীল ফরোয়ার্ড গাব্রিয়েল জেসুস ও গাব্রিয়েল বারবোসা এবং পিএসজির ডিফেন্ডার মারকুইনিয়োসদের নিয়ে শক্ত দল গঠন করেছে দেশটি। কিন্তু তারপরও শুরুটা আশাব্যঞ্জক করতে না পারাটা তাই চরম হতাশারই।

ম্যাচে সবচেয়ে বড় সুযোগটি পেয়েছিলেন জেসুস। কিন্তু দুই গজ দূর থেকেও বল পোস্টে মারেন সম্প্রতি ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে চুক্তি করা এই ফরোয়ার্ড। এই ব্যর্থতায় স্বাভাবিকভাবেই দারুণ হতাশ ১৯ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।

“গোল করতে না পারায় আমি হতাশ। এটা একটা ভুল যা হওয়া উচিত নয়। এখন আমাদের রোববারে লক্ষ্য রাখতে হবে এবং ভুল করা যাবে না।”

দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সে মাঠে উপস্থিত ৬৯ হাজার দর্শকের মধ্যে কিছু সমর্থক নেইমারদের দুয়ো দেয়। এ প্রসঙ্গে অলিম্পিকে ব্রাজিল কোচ রজেরিও মিকালে সমর্থকদের পাশে থাকার আহবান জানান। পরের ম্যাচগুলোতে ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তিনি।

আগামী রোববার ‌‘এ’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরাকের বিপক্ষে মাঠে নামবে নেইমাররা।