৩৪ বছর বয়সী ইব্রাহিমোভিচ সাফল্যের সঙ্গে পিএসজিতে চার বছর কাটানোর পর গত মৌসুম শেষে ফ্রান্সের দলটিকে বিদায় জানান।
পিএসজি ছাড়ার পর থেকেই ইব্রাহিমোভিচের ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার জোর সম্ভাবনা নিয়ে গণমাধ্যমে খবর বের হতে থাকে। এই তারকা নিজেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাই তার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে যোগ দিতে যাওয়ার খবরটা প্রত্যাশিতই ছিল।
প্রিমিয়ার লিগের সফলতম ক্লাব ইউনাইটেডে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে ইব্রাহিমোভিচ নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, “সময় হয়েছে বিশ্বকে জানানোর। আমার পরবর্তী ঠিকানা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।”
এর ফলে আগামী মৌসুমে ইউনাইটেডের দায়িত্ব নিতে যাওয়া কোচ জোসে মরিনিয়োর অধীনে খেলতে দেখা যাবে ইব্রাহিমোভিচকে। ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলানে মরিনিয়োর অধীনে এক মৌসুম খেলেছিলেন তিনি। সেবার ২০০৮-০৯ মৌসুমে সেরি আ জিতেছিলেন তারা। এরপরই বার্সেলোনায় যোগ দেন ইব্রাহিমোভিচ।
গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে পঞ্চম হওয়ায় উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগামী আসরে খেলতে পারবে না ইউনাইটেড।
১৯৯৯ সালে স্বদেশের ক্লাব মালমোয় অভিষেকের পর আয়াক্স, ইউভেন্তুস, ইন্টার মিলান, বার্সেলোনা, এসি মিলান ও সবশেষ পিএসজিতে খেলেন ইব্রাহিমোভিচ।
ক্যারিয়ারে ৬৭৭ ম্যাচ খেলে ৩৯২ গোল করা এই ফরোয়ার্ড গত মৌসুমে ছিলেন এক কথায় দুর্দান্ত। ২০১৫-১৬ মৌসুমে পিএসজির হয়ে ৫১ ম্যাচে রেকর্ড ৫০ গোল করেন। এই সময়ে লিগে করা তার ৩৮ গোলও লিগ ওয়ানের ইতিহাসে পিএসজির হয়ে এক মৌসুমে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোল। ক্লাবটিকে চার বছরে ১২টি শিরোপা জেতাতে সবচেয়ে বড় অবদান তারই।
তবে পিএসজি ছাড়ার পর দেশের হয়ে ইউরো খেলতে যাওয়া ইব্রাহিমোভিচের ফ্রান্সে সময়টা কেটেছে খুবই বাজে। ক্লাবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ছিটোফোঁটা দেখাতে পারেননি সেখানে। ফলে তার দেশ সুইডেনও ছিটকে পড়ে গ্রুপ পর্ব থেকে। একই সঙ্গে জাতীয় দল থেকে অবসরও নিয়েছেন তিনি।