সোমবার রাতে শুরুতে এগিয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলে হেরে ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ে।
২০১২ সালে ইংল্যান্ডের কোচের দায়িত্ব নেন হজসন। ৬৪ বছর বয়সী এই কোচের অধীনে বড় টুর্নামেন্টের চূড়ান্ত আসরে ১১ ম্যাচের মধ্যে মাত্র তিনটিতে জেতে ইংলিশরা।
৩ লাখ ৩০ হাজার জনসংখ্যার দেশ আইসল্যান্ড, র্যাংকিংয়েও আছে নিচের দিকে। সেই দলটিই বিদায় করে দিল টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ইংল্যান্ডকে।
ম্যাচ শেষে হজসনের প্রতিক্রিয়ায় কেবল হতাশাই ঝড়ল, “এভাবে শেষ হওয়ায় আমি দুঃখিত, তবে এমনটা ঘটে।”
“আশা করি, শিগগিরি আপনারা বড় একটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ইংল্যান্ড দলকে দেখতে পারবেন।”
এফএ চেয়ারম্যান গ্রেগ ডাইক আভাস দিয়েছিলেন, ফ্রান্সে ইংল্যান্ড ‘ভালো করলে’ থাকতে পারবেন হজসন। এই সময়ে তিনি অন্তত কোয়ার্টার-ফাইনালের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।
বাছাই পর্বে শতভাগ জয় পাওয়া ইংল্যান্ড ইউরোর চূড়ান্ত পর্বে ‘বি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রাশিয়ার সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। পরের ম্যাচে ওয়েলসকে ২-১ গোলে হারায়। তৃতীয় ম্যাচে স্লোভাকিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে নিজেদের গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল হিসেবে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ওয়েইন রুনিরা।
হজসনের অধীনে গত ইউরোতে কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছেছিল ইংল্যান্ড। ২০১৪ বিশ্বকাপে অবশ্য কোনো ম্যাচ না জিতে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল তারা।