আসরের অন্যতম ফেভারিট ইংলিশদের বিপক্ষে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে ২-১ গোলে জিতে কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে তারা।
সোমবার রাতে সেরা ষোলোর ম্যাচে পেনাল্টি থেকে ওয়েইন রুনির গোলে পিছিয়ে পড়ার এক মিনিট পরেই র্যাগনার সিগার্ডসনের গোলে সমতায় ফেরে আইসল্যান্ড। কিছুক্ষণ পরে কোলবেইন সিগথোরসনের গোলে এগিয়ে যায় ইউরোপ শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতায় প্রথম খেলতে আসা দলটি।
সতীর্থের লম্বা করে বাড়ানো বলের পিছু ছোটা রাহিম স্টার্লিংকে বক্সের মধ্যে গোলরক্ষক ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। বলের লাইনে ঝাঁপিয়ে পড়লেও রুনির জোরালো শট আটকাতে পারেননি হালডোরসোন। ইংল্যান্ডের হয়ে এটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ফরোয়ার্ডের ৫৩তম গোল।
ইংল্যান্ডের এগিয়ে যাওয়ার আনন্দের স্থায়ীত্ব ছিল মাত্র ৬০ সেকেন্ড। অ্যারন গুনারসনের লম্বা থ্রোতে ক্যারি আর্নাসনের হেডে গোলমুখে বল পেয়ে যান সিগার্ডসন। আলতো টোকায় সমতা ফেরান আইসল্যান্ডের এই ডিফেন্ডার।
অষ্টাদশ মিনিটে নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করতে করতে বোভারসনের পাসে নিচু শট নেন সিগথোরসন। বল জো হার্টের হাত ছুঁয়ে গড়াতে গড়াতে ঠিকানা খুঁজে পায়।
প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়ালেও গোল অধরা থেকে যায় ইংল্যান্ডের। ৭৫তম মিনিটে ভার্ডির দুর্বল হেড গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়। একটু পর টটেনহ্যামের ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনও হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
প্রতি-আক্রমণ থেকে ৮৩তম মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়ার ভালো একটি সুযোগ নষ্ট করেন আইসল্যান্ড অধিনায়ক গুনারসন। বক্সের মধ্যে সঙ্গে লেগে থাকা জ্যাক উইলশায়ারকে কাটিয়ে এই মিডফিল্ডারের নেওয়া শট রুখে দেন জো হার্ট।
এই প্রথম ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেল আইসল্যান্ড। ১৯৮২ সালে প্রথম দেখায় ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। ২০০৪ সালে হেরেছিল ৬-১ গোলে।
আগামী ৩ জুলাই ইউরোতে রূপকথার পথচলা সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নেওয়ার আশায় স্বাগতিক ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আইসল্যান্ড।
আর এ হারে ইউরোপ সেরার আসরে ১৯৬৮ সালে তৃতীয় হওয়াই সেরা সাফল্য হয়ে থাকল ইংল্যান্ডের।