প্রথমার্ধে জর্জো কিয়েল্লিনির সুযোগ-সন্ধানী গোলের পর ম্যাচের যোগ করা সময়ে জয় নিশ্চিত করেন গ্রাৎসিয়ানো পেল্লে। কোয়ার্টার-ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ ইউরোপীয় ফুটবলের আরেক পরাশক্তি জার্মানি।
গত ফাইনালে ইতালিকে ৪-০ গোলে হারানো স্পেনকে সাঁ-দেনিতে সোমবার সন্ধ্যায় খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ ছিল ইতালির। আক্রমণেও বেশি ওঠে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। স্পেনের গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া দারুণ দুটি সেভ না করলে প্রথমার্ধেই একাধিক গোল পেত তারা।
স্পেনের রক্ষণে কয়েকবার হানা দেওয়ার পর ৩৩তম মিনিটে এগিয়ে যায় ইতালি। ব্রাজিলে জন্ম নেওয়া এদেরের নিচু শট দে হেয়া ঠেকালে ছুটে এসে ফিরতি বল জালে পঠিয়ে দেন কিয়েল্লিনি।
বিরতির আগে বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে এসে এমানুয়েলে জাক্কেরিনির দূরপাল্লার শট লাফিয়ে এক হাতে দুর্দান্ত সেভ করেন দে হেয়া।
বিরতির পর স্পেনকে আক্রমণের বেশি সুযোগ দেয়নি ইতালি। শুরুর দিকে মোরাতার হেড সহজেই ঠেকান জানলুইজি বুফ্ফন।
৫৫তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সহজতম একটি সুযোগ নষ্ট করেন এদের। বল নিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড। সোজাসুজি আসা শট ঠেকিয়ে দেন দে হেয়া।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে জেরার্দ পিকের ভলি দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে নিতে দেননি বুফ্ফন। উল্টো যোগ করা সময়ে বদলি হিসেবে নামা মাত্তেও দারমেইনের শটে বল প্রতিপক্ষের এক খেলোয়াড়ের পায়ে লেগে একটু উপরে উঠলে কাছ থেকে ভলিতে জালে জড়ান পেল্লে।
২০০৮ সালের ইউরোতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে কোয়ার্টার-ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে ইতালিকে হারিয়েছিল স্পেন। এরপর থেকে ইতালির কাছে স্পেন হয়ে পড়েছিল প্রায় অজেয়। গত আসরের ফাইনালের পর ২০১৩ সালের কনফেডারেশন কাপেও ইতালি হেরেছে। আগের ১১টি ম্যাচের মধ্যে একটিতেই কেবল জিতেছিল তারা। দারুণ জয়ে হিসাবটা চুকানো শুরু করলো তারা।