আরামবাগের স্বপ্ন গুঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী

প্রথমার্ধে দারুণ আক্রমণাত্মক আবাহনী লিমিটেড। রক্ষণের খোলস ছেড়ে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পসরা মেললো আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। জমে ওঠা ম্যাচে শেষ পর্যন্ত গ্রুপ পর্বের হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে ফেডারেশন কাপে নিজেদের নবম শিরোপা উৎসব সারল আবাহনী।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 June 2016, 11:55 AM
Updated : 27 June 2016, 01:26 PM

আরামবাগের ঘরোয়া ফুটবলের প্রথম শিরোপা স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দিয়ে ১-০ গোলে জিতেছে জর্জ কোটানের দল। গ্রুপ পর্বে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আরামবাগের কাছে একই ব্যবধানে হেরে ফেডারেশন কাপ শুরু করেছিল আবাহনী।

২০১১-১২ মৌসুমের প্রিমিয়ার লিগ জয়ের পর থেকে পিছু নেওয়া শিরোপা খরা কাটল আবাহনীর। চলতি মৌসুমের শুরুতে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে হারের হতাশাও ঘুচল তাদের। এই জয়ে ফেডারেশন কাপের সর্বোচ্চ ১০ শিরোপা জেতা মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের আরও কাছে এলো দলটি।

এ নিয়ে তৃতীয় বারের মতো ফেডারেশন কাপের শিরোপার খুব কাছ থেকে খালি হাতে ফিরল আরামবাগ। ১৯৯৭ সালে আবাহনীর কাছে ২-১ ও ২০০১ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরে স্বপ্ন ভেঙেছিল তাদের।

আরামবাগের কাছে হেরে ফেডারেশন কাপের শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশন শুরু করা আবাহনীকে সোমবারের ফাইনালে দেখা গেলো চেনা রূপে। লি টাক, জুয়েল রানা, সানডে চিজোবা শুরু থেকে মেললেন আক্রমণের পসরা। আরামবাগ গোলরক্ষক মিতুল হাসানের প্রতিশোধের দেয়াল গুঁড়িয়ে যেতে সময় লাগল ১১ মিনিট।

ষষ্ঠ মিনিটে গোলরক্ষক মিতুলের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় আরামবাগ। ডি-বক্সের ভেতর থেকে সানডের শট ঝাঁপিয়ে ফেরানোর পর জুয়েলের ফিরতি হেডও আটকে দেন তিনি।

দুই মিনিট পর লি টাকের ফ্রি কিকে জুয়েলের হেড ফিরিয়ে আবারও আরামবাগের ত্রাতা মিতুল। কিন্তু একাদশ মিনিট আর পারেননি তিনি। নাবিব নেওয়াজ জীবনের বাড়ানো বল ডি-বক্সের ভেতর থেকে মাপা শটে আবাহনীকে এগিয়ে নেন লি টাক।

ফেডারেশন কাপে লি টাকের এটি দ্বিতীয় গোল। গ্রুপ পর্বে ফেনী সকারকে হারানো ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেছিলেন ইংল্যান্ডের এই মিডফিল্ডার।

রক্ষণের খোলস থেকে বেরিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে আবাহনীকে চেপে ধরে আরামবাগ। জাফর ইকবাল, ইয়োকো সামনিক, কেস্টার আকনের হাত ধরে বারবার আক্রমণে উঠতে থাকে দলটি। ৫১তম মিনিটে জাফরের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে আবাহনীকে জয়ের পথে রাখেন গোলরক্ষক শহিদুল আলম।

পাঁচ মিনিট পর ভাগ্যকে পাশে পায়নি অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠে আসা আরামবাগ। কেস্টারের সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করতে করতে বক্সে ঢুকে সামনিকের নেওয়া শট প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে পোস্টে প্রতিহত হয়।

আরামবাগের সমতায় ফেরার সেরা সুযোগটি নষ্ট হয় ৬০তম মিনিটে। কেস্টারের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়েও গোলরক্ষককে একা পেয়ে পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন সামনিক।

৮৩তম মিনিটে দ্বিতীয়ার্ধে বলার মতো প্রথম আক্রমণে যায় আবাহনী। বাইরের জালে মেরে জীবন সুযোগটি নষ্ট করলেও গ্রুপ পর্বের হারের প্রতিশোধ নিয়ে জয়োৎসবে মাতে আবাহনীই।