তারা দুজনে মিলে গত আট বছরে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন; মেসি জিতেছেন পাঁচবার, রোনালদোর তিনবার।
আনচেলত্তির অধীনে ২০১৪ সালে রিয়ালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে বড় ভূমিকা রাখেন রোনালদো।
ইংল্যান্ডের দৈনিক টেলিগ্রাফে আনচেলত্তি লেখেন, "আমাকে সব সময়ই লিওনেল মেসিকে নিয়ে এবং ক্রিস্তিয়ানো তাকে কিভাবে দেখে তা নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয়। বাস্তবতা হচ্ছে, আমরা আমাদের মাদ্রিদের সব দিনগুলো মেসিকে নিয়ে কথা বলে কাটাইনি।"
"ক্রিস্তিয়ানো মেসিকে শ্রদ্ধা করে; সে তাকে অনেক শ্রদ্ধা করে। এক দিক থেকে আমি মনে করি, তাদের একে অপরকে প্রয়োজন আছে। প্রত্যেকেই আরেকজনকে নতুন উচ্চতায় যেতে, গোলের নতুন রেকর্ড গড়তে তাড়িত করে।"
আগামী মৌসুমে বায়ার্ন মিউনিখের দায়িত্ব নিতে যাওয়া কোচ আনচেলত্তি তার সাবেক শিষ্য রোনালদোর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন।
"রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেয় ২০০৩ সালে এবং প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলে ২০০৪ সালে। ১২ বছর ধরে এখনও সে ইউরোপের সবচেয়ে বড় তারকা। এটা অবিশ্বাস্য।"
আইসল্যান্ড ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ব্যর্থতার পর রোনালদো এবারের ইউরোতে গোলের দেখা পান হাঙ্গেরির সঙ্গে ৩-৩-এ ড্র করা গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে। তার জোড়া গোলেই ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্যায়ের সেরা চারটি তৃতীয় স্থানের দলের একটি হয়ে নক-আউট রাউন্ডে উঠে পর্তুগাল।
আনচেলত্তি বলেন, "পর্তুগালের হয়ে খেলাটা তার কাছে মূখ্য। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সে কিছু জিততে চায়, কিন্তু খুব কম জনই পারে আর এটা যদি না হয়- ঠিক আছে, এমনটা হতেই পারে।"