টাইব্রেকারে পোল্যান্ডের হয়ে গোল করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি, আর্কাদিউস মিলিক, কামিল গ্লিক, জাকুব ব্লাসেসকোস্কি ও ক্রিকোভিয়াক।
সুইজারল্যান্ডের হয়ে বল জালে পাঠান স্টেফান লিখস্টাইনার, জেরদান শাকিরি, ফাবিয়ান সার ও রিকার্দো রদ্রিগেজ। দলের হয়ে দ্বিতীয় শট নেওয়া গ্রানিট জাকা বাইরে মারেন। তার এই ব্যর্থতাই শেষ পর্যন্ত ব্যবধান গড়ে দেয়।
এর আগে শনিবার সাঁতে ইচেনায় প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত পোল্যান্ড। লেভানদোভস্কির শট কোনোমতে গোলরক্ষক ফেরালে বল পেয়ে যান মিলিক। কিন্তু ফাঁকা জালেও বল পাঠাতে পারেননি এই ফরোয়ার্ড।
প্রথম সত্যিকারের সুযোগের জন্য দশম মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয় সুইজারল্যান্ডকে। শাকিরির নিচু ক্রস অল্পের জন্য লক্ষ্যে রাখতে পারেননি জেমালি।
প্রথম ১০ মিনিটে দুটি আক্রমণ থেকে বেঁচে যাওয়া দুই গোলরক্ষককে পুরো ম্যাচ জুড়ে নিজেদের সামর্থ্যের পরীক্ষা দিয়ে যেতে হয়েছে। দুই দলের খেলোয়াড়রা কোনো চেষ্টাই বাদ রাখেননি। কখনও দূর থেকে আচমকা শটে চেষ্টা করেছেন, কখনও ডি বক্সের ভেতর থেকে গোলের খোঁজ করেছেন।
সমতা ফেরাতে মরিয়া সুইসরা প্রচণ্ড চাপ তৈরি করলেও গোলের দেখা পাচ্ছিল না। তাদের হতাশা বাড়িয়ে ৭৮তম মিনিটে সেফেরোভিচের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় শট বারে লেগে।
এর চার মিনিট পর সুইসদের উল্লাসে মাতান শাকিরি; অসাধারণ এক বাইসাইকেল কিকে দলকে সমতায় ফেরান। ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে তার শট বারে লেগে জালে জড়ায়।
দ্বিতীয়ার্ধের বাকি সময়ে গোল পায়নি কোনো দলই। ৩০ মিনিটের অতিরিক্ত সময়েও জাল খুজে পাননি শাকিরি, লেভানদোভস্কিরা। তাই শেষ আটে পৌঁছানোর লড়াই গড়ায় টাইব্রেকারে, যেখানে শেষ হাসি পোলিশদেরই।