স্বল্পমেয়াদে সেইন্টফিটকে নিতে চান সালাউদ্দিন

সিদ্ধান্ত মোটামুটি পাকা; ভুটানের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ওঠার প্লে-অফ ম্যাচের জন্য কোচ হচ্ছেন টম সেইন্টফিট। বেলজিয়ামের এই কোচের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার আগে আরেকটু ভাবতে চান বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2016, 02:10 PM
Updated : 25 June 2016, 02:10 PM

বাফুফে ভবনে শনিবার আলোচনায় বসেন সেইন্টফিট-সালাউদ্দিন। আলোচনার এক ফাঁকে বাফুফের টার্ফে মহিলা ফুটবলারদের খেলা দেখতে এসে দুজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। সালাউদ্দিন জানালেন, চার-পাঁচ দিনের মধ্যে সারা হতে পারে চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা। সেইন্টফিটও বাস্তবতা বুঝে জানান, স্বল্পমেয়াদে কোচ হতে রাজি তিনি।

এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে ওঠার প্লে-অফের দ্বিতীয় রাউন্ডে ভুটানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ও ১১ অক্টোবর ভুটানের মাঠে ফিরতি লেগের ম্যাচ। এ দফায় ব্যর্থ হলে আগামী এক বছর জাতীয় দলের আর কোনো খেলা নেই। সালাউদ্দিন তাই ভুটানের বিপক্ষে এ দুই ম্যাচের জন্য আপাতত সেইন্টফিটকে চাইছেন।

“ভালো আলোচনা হয়েছে। আমরা কোনটা চাই, ওর কি চাওয়া, এই সব নিয়ে আলাপ করছি। আমরা আলোচনার শুরুর ধাপে আছি। এখন পর্যন্ত এত ভালো প্রোফাইলের কোচ আমার কাছে আসেনি। যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তাহলে এক-‍দুই সপ্তাহের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।”

“আমি দীর্ঘমেয়াদে চুক্তির পথে আপাতত যাব না। কোচ চাচ্ছে দীর্ঘমেয়াদের চুক্তি কিন্তু আমার প্রথম জিনিসটা হলো ভুটান ম্যাচ। আমার সাথে ওর কথা হলো, আমি যদি কোয়ালিফাই করি, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে যাব। আর কোয়ালিফাই না করি, তাহলে আমার হাতে এক বছরে কোনো খেলা নাই। তাহলে আমি কেন বসিয়ে বসিয়ে টাকা দেব?”

এ বাস্তবতা বুঝতে পারছেন সেইন্টফিটও। ৪৩ বছর বয়সী বেলজিয়ামের কোচ জানালেন স্বল্পমেয়াদের চুক্তিতে তার কোনো সমস্যা নেই।

“বুঝতে পারছি, ফেডারেশনও বিজ্ঞ এবং তারাও ভেবে চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে-দুই বছরের জন্য চুক্তি করতে পারবে না। যেহেতু ভুটান ম্যাচে হারলে আর কোনো ম্যাচ খেলার নিশ্চয়তা থাকবে না বাংলাদেশের, তারাও পেশাদার এবং আমারও এ নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমি মনে করি, কোনো সমস্যা হবেও না।”

ঢাকায় পা রেখে ফেডারেশন কাপের দুটো ম্যাচ দেখেছেন সেইন্টফিট। এর আগে ছয়টি জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করা এ কোচ জানালেন, শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব, চট্টগ্রাম আবাহনীর ম্যাচ দেখা হয়নি তার। তবে যতটুকু দেখেছেন, ততটুকুতে মুগ্ধ তিনি।

“সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে হবে। তবে আমরা সবে মাত্র আলোচনা শুরু করেছি। আমি দুটো ম্যাচ দেখেছি এবং যেটা দেখেছি, ভালো লেগেছে। আমি বিশ্বাস করি, ভুটানের বিপক্ষে সবসময় বাংলাদেশের জেতা উচিত এবং এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে অবশ্যই ওঠা উচিত।”

“আমি দেখেছি কিছু দল ভালো খেলার জন্য খুবই গোছালো। কিছু ব্যক্তিগত মেধাবী খেলোয়াড়ও দেখেছি। আমি জানি দুটি বড় দল চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব কিন্তু তাদের খেলা এখনও দেখিনি। গতকাল দুটো (বড় দলের) ম্যাচ দেখেছি; বলতে পারেন, এখানকার ভালো ফুটবলারদের অর্ধেকটা দেখেছি আমি।”

আনুষ্ঠানিকভাবে দলের দায়িত্ব পাওয়ার আগে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নিজেকে ‘উচ্চাভিলাষী কোচ’ দাবি করা সেইন্টফিট।

“আমি মনে করি প্রথমত ভুটানকে হারানোর মতো সম্ভাবনাময় ফুটবলার বাংলাদেশের আছে। কেন প্রথমবারের মতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে কোয়ালিফাই করা নয়? ২৪টা দল  ২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে এ আসরে খেলতে। ইউরোতে আইসল্যান্ড, আলবেনিয়া, স্লোভাকিয়া প্রথমবারের মতো কোয়ালিফাই করছে; আমি মনে করি এটাও বাংলাদেশের জন্য সুযোগ প্রথমবারের মতো এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা।”