শেখ রাসেলকে হারিয়ে ফাইনালে আবাহনী

শুরু থেকে দাপুটে ফুটবলই খেলেছে আবাহনী লিমিটেড। ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে জর্জ কোটানের দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 June 2016, 04:05 PM
Updated : 24 June 2016, 04:05 PM

আগামী সোমবার ১৫ বছর পর ফাইনালে ওঠা আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের মুখোমুখি হবে ফেডারেশন কাপের আট বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড লি টাককে ছাড়াই দ্বিতীয় সেমি-ফাইনাল খেলতে নামে আবাহনী। তবে তৃতীয় মিনিটে শেখ রাসেলের ফিকরু জেইদা লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেওয়ার পর থেকে আধিপত্য করতে থাকে আবাহনী।

পঞ্চম মিনিটে কামারা সাররার নিখুঁত হেডে এগিয়ে যায় ফেডারেশন কাপের আট বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। ওয়ালী ফয়সালের ফ্রি-কিক বক্সের মধ্যে পেয়ে যান সানডে চিজোবা; তাকে আটকাতে পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন। সানডের তোলা বলে সাররার হেড ঠিকানা খুঁজে পায়।

তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে নিতে পারত আবাহনী। কামারার পাস থেকে সানডের মাটি কামড়ানো শট পোস্টের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও দুটি সুযোগ নষ্ট হয় আবাহনীর। ৩৫তম মিনিটে সানডের গতিময় শট পোস্ট ঘেঁষে বাইরে যাওয়ার তিন মিনিট পর সাররার শট গোলরক্ষক লিটন দারুণ দক্ষতায় পা দিয়ে রুখে দেন।

দ্বিতীয়ার্ধেও শুরু থেকে আধিপত্য থাকে আবাহনীর। ৪৬তম মিনিটে শাহেদুল ইসলামের বাড়ানো বলে জুয়েল রানার জোরাল শট ফেরান লিটন।

দ্বিতীয়ার্ধে শেখ রাসেল বলার মতো আক্রমণ শানায় ৫৩তম মিনিটে। তবে আতিকুর রহমান মিশুর কর্নার থেকে পাওয়া বলে ইকাঙ্গার নেওয়া শট পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি ২০১২ সালে সর্বশেষ ফেডারেশন কাপের ফাইনাল খেলা দলটির।

৬৪তম মিনিটের সুযোগটি আর নষ্ট করেনি ২০১২-১৩ মৌসুমে ঘরোয়া ট্রেবল জেতা শেখ রাসেল। পল এমিল ও রুম্মন হোসেন বল দেওয়া নেওয়া করতে করতে বক্সে ঢুকে পড়েন। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে গোলরক্ষক শহিদুল ইসলাম সোহেলকে পরাস্ত করেন রুম্মন।

শেখ রাসেলের সমতায় ফেরার স্বস্তি উবে যায় ৬৯তম মিনিটে। ডি বক্সের বাঁ দিক থেকে সানডের কোণাকুণি শট জালে জড়ায়। ঝাঁপিয়ে পড়লেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি শেখ রাসেল গোলরক্ষক। এ স্কোরলাইন ধরে রেখে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে ২০১০ সালে শেষবার ফেডারেশন কাপ জেতা আবাহনী।