‘আতলেতিকো এক দিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতবে’

খুব কাছে এসেও আবারও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিততে না পারার হতাশার শেষ নেই আতলেতিকো মাদ্রিদের। তবে এই ব্যর্থতার মাঝেই ঘুরে দাঁড়িয়ে একদিন তারা ইউরোপ সেরা হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস অধিনায়ক গাবির।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2016, 12:03 PM
Updated : 29 May 2016, 02:01 PM

মিলানের সান সিরো স্টেডিয়ামে শনিবার রাতের ফাইনালে সের্হিও রামোসের গোলে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা কারাসকোর গোলে সমতায় ফেরে আতলেতিকো। পরে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনো দল গোল না পেলে লড়াই টাইব্রেকারে গড়ায়। আর সেই ‘লটারি’ ভাগ্যে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৫-৩ গোলে হেরে স্বপ্ন ভাঙে আতলেতিকোর।

২০১৩-১৪ মৌসুমের ফাইনালে প্রথম এগিয়ে গিয়ে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিল আতলেতিকো। কিন্তু যোগ করা সময়ে সের্হিও রামোসের গোলে সমতা ফেরায় হারতে বসা রিয়াল। পরে অতিরিক্ত সময়ে আরও তিন গোল খেয়ে ৪-১ ব্যবধানে হারে দিয়েগো সিমেওনের দল।

তিন বছরে দ্বিতীয়বারের মতো স্বপ্ন ছোঁয়ার এত কাছ থেকে খালি হাতে ফেরাটা  আতলেতিকোর খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসে স্বাভাবিকভাবেই বড় এক ধাক্কা। কোণঠাসা হয়ে পড়া সতীর্থদের উজ্জ্বীবিত করতে অধিনায়ক শোনালেন তাই প্রত্যাশার কথা।

“এই দলকে নিয়ে আমাদের গর্বিত হতে হবে। আগামীকাল থেকে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। ফুটবলের বিষয়টাই এমন, একই সঙ্গে চমৎকার ও নিষ্ঠুর।”

“আমার বিশ্বাস, এই দল ঘুরে দাঁড়িয়ে একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতবে; কারণ তারা এটার যোগ্য।”

হারের হতাশা আছে সাউল নিগেসের কণ্ঠেও। তবে অধিনায়কের মতো দলের পারফরম্যান্সের খুশি এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার।

“আমি আমার দল, সমর্থকদের নিয়ে গর্বিত এবং আতলেতিকো মাদ্রিদের খেলোয়াড় হয়ে আমি গর্বিত। আমার মতে, আমরা আমাদের সব কিছু দিয়েছি এবং ফুটবলে এমনটা হয়েই থাকে। তারা (রিয়াল) পেনাল্টি ভাগ্যে ম্যাচটি জিতেছে।”

ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় আতলেতিকোর ফাইনালে স্বপ্নভঙ্গের কষ্ট অনেক পুরনো। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে প্রথমবার ফাইনালে উঠে যোগ করা সময়ে এগিয়ে গিয়ে শিরোপা জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। তবে শেষ মুহূর্তে বায়ার্ন মিউনিখ সমতা ফেরায়। পরে রিপ্লে ম্যাচে ৪-০ গোলে হারে মাদ্রিদের ক্লাবটি।