তাজিকিস্তানে এবার ভালো কিছুর আশা ক্রুইফের

তাজিকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে প্রত্যাশা নিয়ে ওঠা প্রশ্নে লোডভিক ডি ক্রুইফের সরাসরি কোনো উত্তর নেই। তবে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে এবার ‘ভালো কিছু’ নিয়ে ফেরার আশা করছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের এই কোচ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 May 2016, 01:31 PM
Updated : 28 May 2016, 02:01 PM

প্লে-অফে আগামী ২ জুন দুশানবেতে এবং ৭ জুন ফিরতি লেগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। এর আগে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে দুশানবেতে ৫-০ গোলে হারা মামুনুলরা নিজেদের মাঠে তাজিকিস্তানের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল।

গত ১১ মে থেকে প্লে-অফ ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করে বাংলাদেশ দল। শনিবার ২৩ জনের দলও চূড়ান্ত হয়েছে। একেবারে নতুন মুখ রহমতগঞ্জের রাশেদ তুর্য্য। ২০১৪ সালে বিকেএসপিতে এক প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে ক্রুইফের চোখে পড়া এই উঠতি ফরোয়ার্ডের সম্ভাবনা আছে দুশানবের ম্যাচে সেরা একাদশে থাকার। ঠাঁই পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপে অনুর্ধ্ব-২৩ দলে খেলা রুবেল মিয়াও। প্রবীণ-নবীনে গড়া দল নিয়ে আশার কথা শোনালেন ক্রুইফ।

“দুই সপ্তাহের অনুশীলনের পর আমরা তাজিকিস্তান যাওয়ার জন্য উজ্জীবিত হয়ে আছি। দল ভালো অবস্থায় আছে। টিটো ফিজিক্যাল ট্রেনিং করিয়েছে। আমি এসে ট্যাকটিক্যাল দিক নিয়ে অনেক কাজ করেছি। খুব ভালো ফল বের করে আনার জন্য সেখানে যাচ্ছি। এটা ভিন্ন ম্যাচ। শক্তিশালী প্রতিপক্ষ; তাদের মাঠে খেলা। দেখা যাক, সেখানে কি করি আমরা।”

“আপনি কখনোই জানেন না, (ম্যাচের ফল) কি হবে? ম্যাচের আগে অনুমান করে কিছু বলা যায় না। তবে আমি (দলের পক্ষে) বাজি ধরব। এটা একটা ম্যাচ। ফুটবলে যে কোনো কিছুই হতে পারে। আমরা উন্মুখ হয়ে আছি। প্রস্তুতি ভালো এবং আমরা সেখানে ঘুরতে যাচ্ছি না।”

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা মামুনুল ইসলামের বাহুতে উঠছে অধিনায়কের আর্মব্যান্ড। নির্ভরযোগ্যদের মধ্যে পিতার অসুস্থতার কারণে দলে নেই ফরোয়ার্ড জাহিদ হোসেন, চোট ছিটকে দিয়েছে ডিফেন্ডার আতিকুর রহমান মিশু ও কেষ্ট কুমার বোসকে। তবে বর্তমান দলে আস্থা রাখছেন কোচ।

“সব মিলিয়ে বলতে পারি, ছেলেরা ভালো করেছে। (অনুশীলনে) কঠোর পরিশ্রম করেছে। তাদের নিষ্ঠা আছে এবং তাদের কাছ থেকে আমি শতভাগ, সম্ভব হলে শতভাগের চেয়েও বেশি চেয়েছি।”

“(দলের) ফিটনেস লেভেল শতভাগ ভালো। দেশের সম্মান ফেরানোর সুযোগ কাজে লাগাতে প্রস্তুত ছেলেরা। হোম ও অ্যাওয়ে-এই দুই ম্যাচে ভালো করা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবাই ভীষণ সিরিয়াস; খুব পেশাদার। সুযোগ নেওয়ার জন্যই সেখানে যাব এবং আসলেই আমি ‍খুব ভালো ফল আশা করি।”

দুই দলের মধ্যে দুশানবেতে শেষ ম্যাচই বলছে মামুনুলদের জন্য ভালো ফল পাওয়া কতটা কঠিন। প্রতিপক্ষকে সমীহ করলেও বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের মাঠের ড্র থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়ার কথা জানান ক্রুইফ।

“অ্যাওয়ে ম্যাচ সবসময় কঠিন। ওখানকার মাঠে গতি থাকবে। অনেকের মাথায় থাকবে সেখানে আমরা ৫-০ গোলে হেরেছিলাম কিন্তু আমার মাথায় থাকবে ১-১ ড্র; এ ম্যাচে গোলের সুযোগ পাওয়ার দিক থেকে আমাদের জেতার সুযোগ ছিল। এটাই আমার মাথায় আছে এবং ছেলেদের মাথায় সেটাই দিচ্ছি। আমি সুযোগ কাজে লাগানোর জন্যই যাব।”

টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর বিশ্বাস দুশানবেতে সামর্থ্যের শতভাগ নিংড়ে দেবেন মামুনুলরা।

“অনুশীলনে থেকে আমি যেটা দেখেছি, খেলোয়াড়রা মনোযোগী ও সততার সঙ্গে চেষ্টা করেছে। ভালো ফল যে করা দরকার, সেটা ছেলেরাও বুঝছে। আশা করি, ২ তারিখের খেলায় তারা শতভাগ দেবে এবং দেশের ‍সুনাম বয়ে আনবে।”

বাংলাদেশ দল: রাসেল মাহমুদ লিটন, শহিদুল ইসলাম সোহেল, আশরাফুল ইসলাম রানা, নাবিব নেওয়াজ জীবন, জামাল ভূইয়া, তপু বর্মন, মাশুক মিয়া জনি, নাসিরুল ইসলাম নাসির, রেজাউল করিম, মোনায়েম খান রাজু, আরিফুল ইসলাম, ওয়ালী ফয়সাল, জুয়েল রানা, রুবেল মিয়া, ইমন মাহমুদ, শাহেদুল আলম শাহেদ, রায়হান হাসান, মামুনুল ইসলাম, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, মামুন মিয়া, ফয়সাল মাহমুদ, রাশেদ তুর্য্য ও সোহেল রানা।