বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার জুনিয়র অ্যাথলেটিক্সের ৩২তম আসরে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে ১০.৬০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে বালক বিভাগের সেরা হন হাসান। ২০১৪ সালের আসরে আশরাফুজ্জামান রচির গড়া (১০.৭০ সেকেন্ড) রেকর্ড ভাঙেন অষ্টম শ্রেণিতে পড়া এই অ্যাথলেট।
আসাফা পাওয়েলকে আদর্শ হিসেবে দেখা হাসান বলেন, “গতবারও খেলেছি। ১০.৯৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছিলাম। কিন্তু এবার সেরা হয়েছি। খুবই ভালো লাগছে। ছোটবেলা থেকেই আমার অ্যাথলেট হওয়ার শখ। আমি আরও বড় হতে চাই। আরও উপরে যেতে চাই।”
বালিকা বিভাগের ১০০ মিটারে সেরা হতে ১২.৫৫ সেকেন্ড সময় নেন সোনিয়া। বিকেএসপির এই অ্যাথলেটের সেরা হওয়ার আগে হল আরেক নাটক। হিটে সেরা হলেও রেজাল্ট শিটে ছিল না সোনিয়ার নাম! পরে এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ালে সোনিয়ার নাম ওঠে তালিকায় এবং বাজিমাত করেন অষ্টম শ্রেণিতে পড়া এই ছাত্রী।
সেরা হওয়ার পর কাঁদো কাঁদো গলায় এই অ্যাথলেট বলেন, “আমাকে বাদ দিয়ে দিয়েছিল। আগে থেকে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম সেরা হব। অনেক ভালো লাগছে। কোচদের প্রচেষ্টার কারণে এসব কিছু সম্ভব হয়েছে। আমার পরের লক্ষ্য ভবিষ্যতে এসএ গেমসে খেলা।”
প্রথম দিনে কিশোর-কিশোরীদের (১৮-১৯ বছর) ছয় ইভেন্টের মধ্যে শটপুটে রেকর্ড গড়েন তাহমিনা আক্তার। ১০.৪২ মিটার দূরে গোলক নিক্ষেপ করে সোনা জেতেন বিকেএসপির এই অ্যাথলেট।
কিশোরদের হাই জাম্পে নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাসুদ রানা (১.৮০ মিটার) ও কিশোরীদের ইভেন্টে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার চুমকি (১.৪৩ মিটার) সোনা জেতেন।
৮০০ মিটার দৌড়ে খুলনা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আব্দুর রহিম (২ মিনিট ১.৭৮ সেকেন্ড), বর্শা নিক্ষেপে নরসিংদী জেলা ক্রীড়া সংস্থার আব্দুল সেলিম (৫৪.২৫ মিটার), লং জাম্পে নড়াইল জেলা ক্রীড়া সংস্থার রাজিবুল ইসলাম (৬.৯৫ মিটার) সেরা হন।