রিয়ালের সাফল্যের মূলে জিদান-খেলোয়াড়দের বন্ধুত্ব

কোচ জিনেদিন জিদানের সঙ্গে খেলোয়াড়দের ‘দারুণ সম্পর্ক’ ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছে। আর এটাই রিয়াল মাদ্রিদের সাফল্যের রহস্য বলে জানিয়েছেন ক্লাবটির অধিনায়ক সের্হিও রামোস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2016, 12:32 PM
Updated : 26 May 2016, 12:32 PM

গত জানুয়ারিতে রাফায়েল বেনিতেসকে বরখাস্ত করে জিদানকে কোচের দায়িত্ব দেয় রিয়াল।

খেলোয়াড় হিসেবে রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতেন জিদান। ২০০২ সালে ফ্রান্সের এই সাবেক তারকার অসাধারণ এক ভলিতে বায়ার লেভারকুজেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরার এই প্রতিযোগিতায় নিজেদের ইতিহাসে নবম শিরোপা জেতে রিয়াল।

এবার কোচ হিসেবেও রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জেতানোর আশা করছেন জিদান। এই লক্ষ্যে মিলানের সান সিরোতে আগামী শনিবার তার দল এ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকো মাদ্রিদের মুখোমুখি হবে।

কার্লো আনচেলত্তির অধীনে ২০১৪ সালে আতলেতিকোকে ৪-১ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের দশম শিরোপা জিতেছিল রিয়াল। আরেকটি ফাইনালের আগে দলটির ডিফেন্ডার রামোস জিদানকে সাবেক কোচ আনচেলত্তির সঙ্গে তুলনা করেন।

“জিজুর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক দারুণ। একসঙ্গে খেলার সময় থেকে তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। কিন্তু সবাই তাকে দ্বিতীয় কার্লো আনচেলত্তি হিসেবে জানে।”

“দলের সঙ্গে তার দারুণ সম্পর্ক বন্ধুত্বে রূপ নিয়েছে এবং বিষয়গুলো সহজতর করে দিয়েছে। বেনিতেসের সঙ্গে এটা ছিল না।”

খেলোয়াড় জিদান আর কোচ জিদানের আচরণের পার্থক্যে কিছুটা অবাকও রামোস।

“খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সম্ভবত আরও লাজুক ছিলেন। কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছেন যে, কোচ হিসেবে তাকে বদলাতে হতো। তিনি ভালোর জন্যই বদলেছেন। এখন তিনি প্রতিদিন দলীয়ভাবে ছাড়াও খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন।”