বাংলাদেশ সময় আগামী শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটায় পুয়ের্তো রিকোর রাজধানী সান হুয়ানে হন্ডুরাসের বিপক্ষে খেলতে নামবে দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
তিন দিন আগে গত রোববার রাতে সেভিয়াকে হারিয়ে কোপা দেল রে জয়ের মধ্য দিয়ে মৌসুমে চতুর্থ শিরোপা জেতে মেসির বার্সেলোনা। ২-০ ব্যবধানে জেতা ওই ম্যাচের দুটি গোলেই অবদান ছিল পাঁচবারের বর্ষসেরা ফুটবলারের। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে বার্সেলোনার হয়ে ৪১ গোল করা ছাড়াও মৌসুম জুড়ে বরাবরের মতো গোল করাতেও দারুণ কার্যকর ছিলেন তিনি।
এই সময়ে জাতীয় দলের হয়েও দারুণ খেলেছেন মেসি। মেসির অনুপস্থিতিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে চারটি ম্যাচ খেলে কেবল একটিতে জেতে আর্জেন্টিনা। কিন্তু দলের সেরা তারকা মাঠে ফেরার পর ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে খেলা দুটি ম্যাচেই জেতে দলটি। কোপা আরেমিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলি ও বলিভিয়াকে হারায় তারা।
সম্প্রতি স্পোর্টস ইলাস্ট্র্যাটেডকে মেসি বলেন, “দীর্ঘ দিন হয়ে গেছে আর্জেন্টিনা কিছুই জেতেনি এবং এই দল বিশ্বকাপ ও গত কোপা আমেরিকায় (শিরোপার) খুব কাছে গিয়েছিল। আমি মনে করি, গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতিযোগিতায় আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্য।"
১৯৯৩ সালে লাতিন আমেরিকার সেরা এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আর কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টেই সাফল্য পায়নি আর্জেন্টিনা। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার লক্ষ্যে কাছাকাছি গিয়েও স্বপ্ন ভাঙার হতাশায় ডোবে দলটি।
২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেও অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে একমাত্র গোল খেয়ে হারে আর্জেন্টিনা। আর গত বছর চিলিতে কোপা আমেরিকার ফাইনালে স্বাগতিকদের কাছে টাইব্রেকারে হেরে যায় তারা। কোপা আমেরিকার শেষ চার আসরে তিনবারই ফাইনালে ওঠে আর্জেন্টিনা, কিন্তু প্রতিবারই রানার্সআপ হয়েই শেষ হয় তাদের অভিযান।
নাপোলির হয়ে এ মৌসুমে ৩৬ গোল করে সেরি আর সেরা গোলদাতা হন হিগুয়াইন। আর ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ গোল করেন আগুয়েরো। মাঝমাঠের সেরা তারকা আনহেল দি মারিয়া ক্লাব পিএসজিকে ফরাসি লিগে চ্যাম্পিয়ন করাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। রক্ষণের মূল ভরসা হাভিয়ের মাসচেরানোর সতীর্থ মেসির মতো বার্সেলোনার লা লিগা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল।
সব মিলিয়ে আগামী ৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনাই সবচেয়ে বড় ফেভারিট। এখন শুধু মূল অভিযানে নামার আগে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াটা সেরা নেওয়ার পালা। সে লক্ষ্যে হন্ডুরাস কঠিন কোনো প্রতিপক্ষ হওয়ার কথা নয়। মেসি-হিগুয়াইনরা যেখানে ফিফা র্যাং কিংয়ের শীর্ষে অবস্থান করছে সেখানে হন্ডুরাসের অবস্থান ৮৬।