প্লে-অফে আগামী ২ জুন দুশানবেতে এবং ৭ জুন ফিরতি লেগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল। প্রথম ম্যাচের আগে বাংলাদেশের দলে ফিরে ফিরে আসছে ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইয়ে দুশানবেতে ৫-০ গোলের ভরাডুবির স্মৃতি। প্রতিপক্ষের মাঠে এবার গোল না খাওয়ার দিকটি স্বাভাবিকভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে বেশি। টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুও জানালেন, রক্ষণ অটুট রাখার দিকে দৃষ্টি দেওয়ার কথা।
“প্রথম ম্যাচে আমাদের একটাই লক্ষ্য, তাজিকিস্তানের মাঠে গোল না খাওয়া। অনুশীলনে এ দিকটি খেলোয়াড়দের, বিশেষ করে ডিফেন্ডারদের বারবার বোঝানো হচ্ছে। মানসিকভাবে খেলোয়াড়দের সেভাবেই প্রস্তুত করছেন কোচ।”
দুশানবেতে ক্রুইফের রক্ষণাত্মক ছক বাস্তবায়নের দায়িত্ব যাদের কাঁধে বেশি থাকবে, সেই নাসিরউদ্দিন চৌধুরী ও ওয়ালী ফয়সাল জানালেন আটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের মাঠে তাজিকিস্তানের সঙ্গে ড্র ম্যাচ থেকেও অনুপ্রেরণা নিচ্ছেন তারা।
প্রতিআক্রমণ নির্ভর খেলাটা অনুশীলনে গুরুত্ব পাচ্ছে জানিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার নাসিরউদ্দিন বলেন, “দুই বেলা ভালো অনুশীলন হচ্ছে। টিমের অবস্থাও ভালো। মানসিকভাবে সবাই ভালো আছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই-গোল না খাওয়া। কোচ সবার ভেতরে এই মানসিকতা তৈরি করে দিচ্ছেন।”
“(বিশ্বকাপ বাছাইয়ে) তাজিকিস্তান ম্যাচে আমরা এগিয়ে ছিলাম কিন্তু শেষ দিকে গোল খেয়ে ড্র করেছি। এ ম্যাচেও যেন এরকম ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে, ডিফেন্ডাররা যেন শেষ সময়ে মানসিক শক্তি না হারায়, মনোযোগের ঘাটতি না হয়, কোচ সেদিকটা নিয়ে কাজ করছেন।”
আক্রমণভাগ নিয়ে বাংলাদেশের দুর্ভাবনা অনেক পুরনো। ফরোয়ার্ড নাবীব নেওয়াজ জীবনই অভিজ্ঞতায় এগিয়ে। তবে রুপু জানালেন, জীবন ছাড়াও জুয়েল রানা, রুবেল হোসেন, মামুনুলের গোল করার সামর্থ্য আছে।
দুই ডিফেন্ডার লিঙ্কন, কেষ্ট কুমার বোস কাঁধের চোট আর গোলরক্ষণ মাজহারুল ইসলাম হীমেল জ্বরের কারণে তাজিকিস্তান ম্যাচের প্রথমকি দল থেকে ছিটকে গেছেন। রুপু জানালেন, বর্তমান দলে থাকা ২৭ জনের মধ্যে ২৩ জনকে নিয়ে আগামী রোববার-সোমবারের মধ্যে চূড়ান্ত দল গড়বেন তারা।