শুক্রবার দুই দলের প্রথম সেমি-ফাইনালের নির্ধারিত সময়ের খেলা ৩-৩ সমতায় শেষ হওয়ার পর ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ঊষার মাহাবুব হোসেন প্রথম শটে ব্যর্থ হলেও পরে কৃষ্ণ কুমার দাস, ফাইজাল বিন শারি, নাইম উদ্দিন, পুস্কর ক্ষিসা মিমো লক্ষ্যভেদ করেন।
অন্যদিকে মোহামেডানের তাসাওয়ার আব্বাস, রিজওয়ান জুনিয়র লক্ষ্যভেদ করলেও কামরুজ্জামান রানা ও ওমর ভাট্টা ব্যর্থ হলে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় ঘণ্টা বেজে যায় দলটির।
৯ মের ফাইনালে ঊষার মুখোমুখি হবে আগামী শনিবার মেরিনার ইয়াংস ও আবাহনী লিমিটেডের মধ্যে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালের জয়ী দল।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পাওয়ায় ঊষার বিপক্ষে দলের সেরা তারকা রাসেল মাহমুদ জিমিকে ছাড়াই খেলতে নামে মোহামেডান। চার পাকিস্তানি খেলোয়াড় নিয়ে নামলেও জিমির অভাব ঠিকই প্রথমার্ধে টের পায় দলটি।
নবম মিনিট প্রথম পেনাল্টি কর্নারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় ঊষা। কৃষ্ণ কুমার দাসের পুশ সারোয়ার হোসেন স্টপের পর বক্সের জটলার মধ্যে পেয়ে যান কৃষ্ণ-ই, নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করেন জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড।
তাপস বর্মনের হিট শেষ মুহূর্তে রুখে দেওয়ার পর শেষ দিকে রুবেল হোসেনের শট আটকে ঊষার ত্রাতা গোলরক্ষক আবু সাইদ নিপ্পন। কিন্তু ৩০তম মিনিটে মোহামেডানের সমতায় ফেরা আটকাতে পারেননি তিনি। বক্সের সামনে থেকে কামরুজ্জামান রানার পাসে রিভার্স সুইপে লক্ষ্যভেদ করেন মোহামেডানের পাকিস্তানি খেলোয়াড় তাসাওয়ার আব্বাস।
দ্বিতীয়ার্ধের তৃতীয় মিনিটেই স্কোরলাইন ২-১ করে নেয় মোহামেডান। একক প্রচেষ্টায় ডান দিক দিয়ে আক্রমণে যাওয়া সালমান হুসাইনের বাড়নো বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন ওমর ভাট্টা। পরের মিনিটেই পেনাল্টি কর্নারে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন ঊষার ইশান।
৪৬তম মিনিটে সৈয়দ মো. শফিক বিন চোলানের গোলে সমতায় ফেরে ঊষা। পেনাল্টি কর্নারে কৃষ্ণর পুশ সারোয়ারের স্টপ থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মালয়েশিয়ার এই খেলোয়াড়।
শেষ দিকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠে ম্যাচ। ৬৮তম মিনিটে অসাধারণ এক রিভার্স হিটে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন ওমর ভাট্টা। পরের মিনিটে মিমোর লক্ষ্যভেদে সমতায় ফেরে ঊষা। ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে এবং স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঊষা।