হার্টের মতে, ভাগ্য সহায় হলে তারাও ফাইনালে উঠতে পারতেন।
প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র করে ফেরার পর গত বুধবার ঘরের মাঠে ১-০ গোলে জিতে রিয়াল। একমাত্র গোলটি হয় ২০তম মিনিটে; গ্যারেথ বেলের দুর্দান্ত একটি কোনাকুনি শটে বল ফের্নান্দোর পা ছুঁয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায়।
এই হারে প্রথমবারের মতো ইউরোপীয় ফুটবলের সেরা প্রতিযোগিতার ফাইনালে ওঠার ইতিহাস গড়া হলো না সিটির। অনন্য এক অর্জনের এত কাছ থেকে খালি হাতে ফিরতে হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই হতাশ হার্ট ও তার সতীর্থদের।
বিটি স্পোর্টকে হার্ট বলেন, “আমরা অনায়াসে ফাইনালে উঠতে পারতাম। তারা ম্যাচটি ভালোভাবে সামলেছে এবং সৌভাগ্যের জোরে একটা গোল পেয়েছে।”
১-০ স্কোরলাইন দেখে লড়াইটা কঠিন মনে হলেও সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে বুধবার রাতের চিত্র আসলে ছিল ভিন্ন; প্রায় ৫৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে মোট ১৫টি শট নেওয়া রিয়ালের ৫টি লক্ষ্যে ছিল, সেখানে সিটির পাঁচ শটের মাত্র একটিই ছিল গোল বরাবর।
তবে বিরতির খানিক আগে ব্রাজিলের মিডফিল্ডার ফের্নানদিনিয়োর শট পোস্টে না লাগলে কিংবা শেষ দিকে সের্হিও আগুয়েরোর বিদ্যুৎ গতির শট ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে না গেলে ফল ভিন্ন হতে পারতো। কারণ ১-১ সমতায় শেষ হলে ‘অ্যাওয়ে গোলের’ সুবাদে ফাইনালে উঠতো মানুয়েল পেল্লেগ্রিনির দলই।
স্বপ্নের ফাইনালের এক ধাপ দূর থেকে ছিটকে পড়ার হতাশা তাই ঘিরে ধরেছে কোচ পেল্লেগ্রিনিকেও।
“আপনার কিছুটা ভাগ্যের দরকার আছে, তবে আমাদের ম্যাচটি জিততে না পারার এটা কারণ নয়। আজ রাতে ও ইতিহাদে আমরা যে ম্যাচ খেলেছিলাম, দু জায়গাতেই আমরা সমমানের দল দেখেছি। আমার মনে হয় না, রিয়াল মাদ্রিদ আজ প্রমাণ করতে পেরেছে যে তারা ম্যানচেস্টার সিটির চেয়ে ভালো দল।”