টাইব্রেকার জিতে ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী

নির্ধারিত নব্বই মিনিট; এরপর অতিরিক্ত আরও ৩০ মিনিটের খেলায় ছিল না প্রাণ। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্যে স্বাধীনতা কাপের সেমি-ফাইনালে উত্তেজনা ফিরল টাইব্রেকারে। স্নায়ুর চাপ ধরে রেখে জাহিদ হোসেন লক্ষ্যভেদ করলে ৪-২ গোলে জিতে ফাইনালে ওঠে বন্দর নগরীর দলটি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2016, 02:40 PM
Updated : 4 May 2016, 02:56 PM

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুধবার প্রতিযোগিতাটির দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে দুই দলের নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর অতিরিক্ত সময়েও গোল না হওয়ায় ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় টাইব্রেকারে। চট্টগ্রাম আবাহনীর তারিক আল জানাবি, অ্যালিসন উডোকা, লিওনেল সেইন্ট প্রিয়াক্স ও জাহিদ লক্ষ্যভেদ করেন।

শেখ রাসেলের ফিকরু জেইদা, নাহাইও ভ্যালেরির শট ঠিকানা খুঁজে পেলেও মিঠুন চৌধূরী পোস্টের বাইরে মারেন। এরপর শাহেদুল আলম শাহেদের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।

ম্যাচে অবশ্য যা একটু আধিপত্য ছিল শেখ রাসেলেরই। ষোড়শ মিনিটে ভালো একটি সুযোগ নষ্ট হয় মারুফুল হকের দলের। মোনায়েম খান রাজুর নিচু ক্রস বক্সের মধ্যে পেয়ে যান ফিকরু। ইথিওপিয়ার এই ফরোয়ার্ডের বাড়ানো বল পোস্টের বাইরে মারেন শাহেদ।

২৭তম মিনিটে প্রধমার্ধে বলার মতো আক্রমণে যায় চট্টগ্রাম আবাহনী। রুবেল মিয়ার থ্রু পাস ধরে ডান দিক থেকে আক্রমণে যান প্রিয়াক্স। কিন্তু গোলরক্ষক রাসেল মাহমুদ লিটন দ্রুত দৌড়ে এসে পথ আগলে দাঁড়ালে হাইতির এই ফরোয়ার্ড শটই নিতে পারেননি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে ফিকরুর গোলে এগিয়ে যায় শেখ রাসেল। আতিকুর রহমান থেকে পাওয়া বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সাখাওয়াত হোসেনের নেওয়া শট ফেরান রানা। তবে গোলরক্ষকের হাত হয়ে উঁচুতে উঠে যাওয়া বল সুযোগসন্ধানী হেডে ঠিকানায় পৌঁছে স্বাধীনতা কাপের ২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়নদের এগিয়ে দেন ফিকরু।

কাপের চলতি আসরে এটি ফিকরুর ষষ্ঠ গোল। সমান গোল করে নিয়ে ফিকরুর সঙ্গে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার লড়াইয়ে আছেন আবাহনীর সানডে চিজোবা ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের এলিটা কিংসলে।

দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানো বন্দরনগরীর দলটি ম্যাচে ফেরে ৬৭তম মিনিটে। প্রিয়াক্সের বাড়ানো বলে রুবেলের নেওয়া প্লেসিং শট আটকানোর সুযোগই পাননি লিটন। একটু পর চট্টগ্রাম আবাহনীর কৌশিক বড়ুয়ার দূরপাল্লার শট পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে যায়।

৮২তম মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীকে জয়ের পথে ফেরানোর সুযোগ পেয়েছিলেন ফিকরু কিন্তু রানার দেয়াল টপকাতে পারেননি। সমতায় শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের খেলা।

অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ডান দিক দিয়ে আক্রমণে যায় শেখ রাসেল। কিন্তু রাজন মিয়ার কাট ব্যাকে মিঠুনের নেওয়া শট সোজা গোলরক্ষকের গ্লাভসে জমে যায়। শেষ দিকে দুটি কর্নারের সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ চট্টগ্রাম আবাহনী। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকার জিতে স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে ওঠে মামুনুল ইসলামহ নির্ভরযোগ্য পাঁচ ফুটবলার ছাড়া এই টুর্নামেন্ট শুরু করা চট্টগ্রাম আবাহনী।

আগামী শনিবার স্বাধীনতা কাপের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইয়ে শেখ জামালকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে আসা আবাহনী লিমিটেডের মুখোমুখি হবে বন্দরনগরীর দলটি।