সিনেমার মতো সাফল্য: সিমেওনে

বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালে পাওয়া সাফল্যকে কোনো সিনেমার শেষ মুহূর্তের রোমাঞ্চের সঙ্গে তুলনা করেছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের কোচ দিয়েগো সিমেওনে।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2016, 09:55 AM
Updated : 4 May 2016, 12:56 PM

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় গত মঙ্গলবার জার্মানির ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে ২-১ গোলে হারলেও মূল্যবান অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে ফাইনালের টিকেট পেয়েছে সিমেওনের দল। নিজেদের মাঠে প্রথম পর্বের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছিল তারা। 
 
ম্যাচে দুই দলই পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করে। প্রথমার্ধে বায়ার্নের টমাস মুলারের নেওয়া দুর্বল পেনাল্টি কিক ঠেকিয়ে দেন আতলেতিকোর গোলরক্ষক ইয়ান ওবলাক। ২-১ গোলে পিছিয়ে পড়া আতলেতিকোকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ পান ফের্নান্দো তরেস। কিন্তু ৮৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। 
 
ম্যাচ শেষে সিমেওনে বলেন, “প্রথমার্ধটা খুব ভালো ছিল বায়ার্নের, দারুণ একটি দল তারা। পেনাল্টি মিসটা আমাদের জীবন দিয়েছে। তরেসের পেনাল্টির সুযোগ নষ্ট করা আমাদের কষ্ট দেয়। কিন্তু পাঁচ মিনিট অতিরিক্ত সময় নিয়ে শেষে এটা ছিল সিনেমার মতো, রোমাঞ্চকর।”
 
এবার ফাইনালে ভাগ্যকে পাশে পাবেন বলে আশা করছেন ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রানার্সআপ আতলেতিকোর কোচ। 
 
“১৮০ মিনিটে (দুই লেগ মিলিয়ে) আমরা তিন বছরের কাজ দেখিয়েছি। আমি আশা করছি যে, নিয়তি অবশেষে ফাইনালে আমাদের সাহায্য করবে।”
 
এর আগে ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে দুটি ফাইনালে খেলেও শিরোপা জিততে পারেনি আতলেতিকো। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে বায়ার্নের কাছে হেরে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভাঙে তাদের। এর পর ২০১৩-১৪ মৌসুমে ফাইনালে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায় তারা। 
 
এর আগে কোয়ার্টার-ফাইনালে চ্যাম্পয়িন্স লিগের শিরোপাধারী বার্সেলোনাকে হারায় আতলেতিকো। সিমেওনে তাই বলেন, “অসুবিধা আর ভোগান্তির মধ্য দিয়ে গিয়েও আমরা বিশ্বের তিন সেরা দলের দুটিকে জয় করেছি।”
 
বায়ার্নের মাঠে মহামূলবান অ্যাওয়ে গোল করে আতলেতিকোকে ফাইনালে ওঠানো ফরাসি ফরোয়ার্ড অঁতোয়ান গ্রিজমানের পা মাটিতেই আছে।

“আজ বায়ার্ন আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। কিন্তু আমরা প্রথম পর্ব জিতেছিলাম। আমরা একটি অ্যাওয়ে গোল করেছি এবং এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমাদের পা মাটিতেই রাখতে হবে।”