ভার্ডির বাড়িতে লেস্টারের শিরোপা-উৎসব

উৎসবের আয়োজন সাজানোই ছিল। তারকায় পরিণত হওয়া ফরোয়ার্ড জেমি ভার্ডির বাড়িতে বসে খেলা দেখছিলেন আর অপেক্ষা করছিলেন সবাই। চেলসি-টটেনহ্যাম ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজতেই ইতিহাস গড়ার আনন্দে ভেসে গেল লেস্টার সিটির খেলোয়াড়রা।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 May 2016, 10:12 AM
Updated : 3 May 2016, 10:13 AM

চেলসির মাঠে টটেনহ্যাম জিততে না পারলেই শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যাবে-লেস্টারের জন্য হিসেবটা ছিল এরকমই। গত সোমবার ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েও চেলসি ২-২ গোলের ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে। আর এতেই ২ ম্যাচ বাকি থাকতে প্রথমবারের মতো শিরোপা জয় নিশ্চিত হয় লেস্টারের।

বিশেষ মুহূর্তটি উপভোগ করতে লেস্টারের খেলোয়াড়রা আগেই ভার্ডির বাড়িতে জড়ো হয়েছিল। চেলসি-টটেনহ্যাম ম্যাচ শেষে টিভি ক্যামরায় ধরা পড়লো তাদের উচ্ছ্বাস আর উদযাপন।

নিজেদের সম্পর্কটা ‘ভাইয়ের মতো’ উল্লেখ করে লেস্টার অধিনায়ক ওয়েস মর্গ্যান বলেন, “শিরোপায় হাত রাখতে আর তর সইছে না আমার। এই ছেলেদের মধ্যে থাকা এরকম মনোবল এর আগে আমি কখনোই দেখিনি।”

“সবাই এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি যে, আমরা এটা করতে পারব। কিন্তু আমরা প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন এবং যোগ্য হিসেবই।”

মর্গ্যান বলেন, “গত মৌসুমে সবাই যখন আমাদের অবনমন হবে বলে ধারণা করেছিল, তখনও মানুষ এটা দেখেছিল। ঘুরে দাঁড়িয়ে মানুষকে ভুল প্রমাণ করি আমরা।”

চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত লেস্টারের ৬৪ গোলের ২২টিই করা ভার্ডি চার বছর আগেও ফ্লিটউড টাউনের হয়ে লিগের বাইরের ফুটবল খেলতেন। ২০১২ সালের মেতে মাত্র ১০ লাখ পাউন্ডে লেস্টারে নাম লেখানো ২৯ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বলেন, “এটা অবিশ্বাস্য এক অনুভূতি। আমি কখনোই এর মতো কিছুর সঙ্গে পরিচিত ছিলাম না।”

এই সাফল্যের অনুভূতি জানাতে গিয়ে ভার্ডির মনে পড়ে গেছে গত মৌসুমের লড়াইয়ের কথা।

“গত মৌসুমে লিগে টিকে থাকতে লড়াই করছিলাম আমরা। আর শনিবার আমরা শিরোপা উঁচিয়ে ধরব। এটা আপনাকে একটা ধারণা দেবে, প্রত্যেক খেলোয়াড় আর কোচিং স্টাফের সদস্যদের এ মৌসুমে কতটা কঠোর পরিশ্রম গেছে।”

“এটা দারুণ এক ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জন এবং এর অংশ হতে পেরে আমরা সবাই নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করছি।”

লেস্টারের হয়ে এর আগে লিগ ওয়ান আর চ্যাম্পিয়নশিপ শিরোপা জেতা মিডফিল্ডার অ্যান্ডি কিং বলেন, আমি ভেবেছিলাম, এই ক্লাবের হয়ে সবকিছু দেখে ফেলেছি-আমি কখনোই এটা দেখব বলে ভাবিনি।”

অসাধারণ এই অর্জনের অনুভূতি দুই শব্দে জানানো কঠিন বলে উল্লেখ করেন কিং।

এ মৌসুমে লিগে ১৭ গোল করা লেস্টারের ২৫ বছর বয়সী আলজেরিয়ান ফরোয়ার্ড রিয়াদ মাহরেজ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে মাধ্যমে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন।

“চ্যাম্পিয়ন্স!!!!! সবাইকে ধন্যবাদ!!!।”

টুইটারে অনুভূতি প্রকাশ করেন গোলরক্ষক কাসপের স্মাইকেলও।

“সতীর্থদের জন্য আমার ভালোবাসা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। শৈশব থেকে আমি এর স্বপ্ন দেখে এসেছি এবং আমি চিরজীবন তোমাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব।”