প্রতিপক্ষের মাঠে রোববার জিতলে আর্সেনালকে হটিয়ে তৃতীয় স্থানে ফেরার সুযোগ ছিল সিটির। কিন্তু হেরে যাওয়ায় ৩৬ ম্যাচে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানেই থাকছে তারা। ৩ পয়েন্ট বেশি নিয়ে তৃতীয় স্থানে আর্সেন ভেঙ্গারের দল। ৩৫ ম্যাচে ৬০ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার লড়াইয়ে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও।
ইপিএলের প্রথম তিনটি দল পরের মৌসুমে সরাসরি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে খেলবে; চতুর্থ দলটিকে আসতে হবে প্লে-অফ খেলে।
সাউথ্যাম্পটনের মাঠে ম্যাচের প্রথমভাগেই তিন মিনিটের মধ্যে দুই গোল খেয়ে বসে সিটি। ২৫তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে গোললাইন থেকে দুসান তাদিচের ব্যকপাস পেয়ে ছয় গজ বক্সের সামনে থেকে আলতো টোকায় স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন আইরিশ ফরোয়ার্ড শেন লং।
তিন মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাদিও মানে। সার্বিয়ান মিডফিল্ডার তাদিচের দারুণ এক পাসে নিজের প্রথম গোলটি করেন সেনেগালের এই মিডফিল্ডার।
বিরতির ঠিক আগে ব্যবধান কমিয়ে দলকে লড়াইয়ে ফেরান কেলেচি লিহেনাচো। নাইজেরিয়ার এই ফরোয়ার্ড ডান দিকে সামির নাসরিকে বল বাড়িয়ে ডি বক্সে ঢুকে পড়েন। নাসরির আড়াআড়ি পাস কেনিয়ার ডিফেন্ডার ভিক্তর ওয়ানিয়ামা বিপদমুক্ত করতে ব্যর্থ হলে ফিরতি বল পেয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লিহেনাচো।
৬৮তম মিনিটে মানের তৃতীয় গোলেও অবদান পুরো ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলা তাদিচের। পাল্টা আক্রমণে মাঝ মাঠের কাছ থেকে তার বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সে ঢুকে সঙ্গে লেগে থাকা এক জনকে ফাঁকি দিয়ে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ২৪ বছর বয়সী মানে।
৭৮তম মিনিটে হেসুস নাভাসের পাস ধরে ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে বাঁকানো শটে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন লিহেনাচো, কিন্তু তা শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
এই জয়ে ৩৬ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে সপ্তম স্থানে উঠেছে সাউথ্যাম্পটন।
দিনের অন্য ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেছে লেস্টার সিটি, ৩৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৭। ৬৯ পয়েন্ট দ্বিতীয় স্থানে আছে টটেনহ্যাম হটস্পার।