মাত্র ১৫ বছর বয়সে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসের সঙ্গে প্রথম পেশাদার চুক্তি সই করেন পেলে। মারাকানা স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ১৬ বছর বয়সে ব্রাজিল জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার।
১৯৫৮ সালে সুইডেন বিশ্বকাপ জেতা ব্রাজিল দলের সদস্য পেলে বলেন, “আমি যখন ১৬ বছর বয়সে ফুটবল খেলতে শুরু করি, তখন থেকেই জাতীয় দলে ছিলাম। আমি সুইডেন বিশ্বকাপের দলে ছিলাম। সেই সময়ে পেশাদার খেলোয়াড়দের অলিম্পিকে খেলার অনুমুতি ছিল না।”
পেলের ট্রফি ক্যাবিনেটে না থাকা অলিম্পিক সোনার পদক ব্রাজিলেরও অধরা রয়ে গেছে।
পেলে বলেন, “ব্রাজিলের যে একটি শিরোপা নেই তা হলো অলিম্পিক টুর্নামেন্ট। একমাত্র টুর্নামেন্ট, যেটাতে আমি কখনও খেলিনি। কারণ, আমি পেশাদার ছিলাম। এখন ব্রাজিলে অলিম্পিক হবে।”
মজা করে পেলে বলেন, “আমি ভাবি, এই অলিম্পিকে খেলার প্রস্তুতি নেব। হয়ত আমি ব্রাজিলকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ জেতাব। পাঁচ মাসের মধ্যে আমাকে এর জন্য প্রস্তুত হতে হবে!”
১৯৮৪ সাল থেকে পেশাদার খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি তাদের আইন শিথিল করেছে।
অলিম্পিকে মূলত কোনো দেশের অনূর্ধ্ব-২৩ দল খেলে। তবে কোচ চাইলে তিন জন বেশি বয়সী খেলোয়াড়ও খেলাতে পারেন। এই তিন জনের একজন হয়ে ব্রাজিল দলে খেলতে পারেন তাদের জাতীয় দলের অধিনায়ক নেইমার।
আগামী অগাস্টে রিও দে জেনেইরোতে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টে ব্রাজিল অলিম্পিক-হতাশা কাটাতে পারবে বলে আশা করেন পেলে।
“এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা টুর্নামেন্ট। আমি আশা করি, ব্রাজিল এই প্রতিযোগিতায় ভালো একটি দল গড়তে পারবে।”
দেশের মাটিতে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে হেরে সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ব্রাজিল। এর পর তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হারে তারা।